Breaking News

৭ লাখ টাকা বিল করে ‘উল’ঙ্গ ম’রদেহ’ ফেরত দিলো হাসপা’তাল

করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে মৃ’ত এক ব্যক্তিকে দাফনের জন্য উল’ঙ্গ অবস্থায় হস্তান্তর চেষ্টার অ’ভিযোগ উঠেছে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হসপিটালের বি’রুদ্ধে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে হস্তান্তরের সময় মৃ’তদেহের জন্য চাদর দিতে অনুরোধ করে স্বেচ্ছাসেবকরা।

তবে দায়িত্বরত কর্মক’র্তারা জানিয়ে দেন, ‘এটি সিস্টেমে নেই’। অথচ করো’নায় মৃ’ত ব্যক্তিদের দাফনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্ট্যান্ডার্ড অ’পারেটিং প্রসিডিওর আছে। সে মোতাবেক মৃ’ত মু’সলমান ব্যক্তির ম’রদেহ কাপড়হীনভাবে দাফন করা যাবে না।

জানা গেছে, করো’নায় আ’ক্রান্ত হয়ে ৮৭ বছর বয়সী মোখলেস উদ্দিন আহমেদ গত ১৭ জুলাই ভর্তি হন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২৫ জুলাই) মা’রা যান তিনি। মৃ’ত ব্যক্তির পরিবার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে ম’রদেহ দাফনের জন্য দায়িত্ব দেন।

তারা তার মৃ’তদেহ গ্রহণ করতে গেলে তাকে উল’ঙ্গ অবস্থায় দেথতে পান। স্বেচ্ছাসেবীরা তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘সাত লাখ টাকা বিল নিলেন, অথচ একটি চাদর দেওয়া যাবে না?’ জবাবে কর্মক’র্তারা জানান, ‘এটি তাদের সিস্টেমে নেই।’

পরে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পুরাতন ছেড়া চাদর দেওয়া হয়। একজন স্বেচ্ছাসবক বলেন, ‘যখন ম’রদেহ গ্রহণ করতে যাই, তখন দেখলাম উল’ঙ্গ অবস্থায় কাছে দিয়েছে। উল্টো আম’রা বডিব্যাগ না নিয়ে যাওয়ায় দোষারোপ করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সিস্টেম ও নিয়ম-কানুন বলার চেষ্টা করেন।

অনেক অনুরোধের প্রায় ৩০ মিনিট পর চাদর দেন তারা।’ তিনি জানান, ‘চাদরটি দিয়ে লা’শ ঢেকে বডিব্যাগে ভরে লা’শ আগে গোসল করাতে নিয়ে যাই। তারপর মানিকগঞ্জে লা’শ দাফন করি।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্ট্যান্ডার্ড অ’পারেটিং প্রসিডিওর মোতাবেক, মু’সলমান ব্যক্তির মৃ’তদেহ ব্যাগে ভরে কাপড়হীনভাবে দাফন করা যাবে না। করো’নায় হাসপাতা’লে মা’রা গেলে সঙ্গে সঙ্গে মৃ’তদেহ প্লাস্টিকের কাভা’র দিয়ে মুড়িয়ে রোগী যে বিছানায় ছিল তাও নির্দিষ্ট স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে।

মৃ’তদেহের ব্যবস্থা প্রক্রিয়ায় বলা আছে– মৃ’তদেহ সৎকারে দেহের সকল ছিদ্রপথ তুলা দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মৃ’ত্যুর স্থানেই ম’রদেহ প্লাস্টিকের কভা’র দিয়ে মুড়িয়ে রাখতে হবে। মু’সলমানদের জন্য সাদা ব্যাগ ব্যবহার করতে হবে।

এদিকে হাসপাতাল থেকে বডিব্যাগে লা’শ হস্তান্তরের নিয়ম আছে বলে দাবি করেছেন হাসপাতা’লের পরিচালক (উন্নয়ন) ডা. মো. এনায়েত হোসেন শেখ। তিনি বলেন, ‘এখানে হয়তো মিস্টেক হয়েছে, এমন হওয়ার কথা না। হাসপাতাল থেকে বডিব্যাগে লা’শ হস্তান্তর করার কথা। আমি অবশ্যই বিষয়টা দেখবো।’

About Utsho

Check Also

সেই মা’রিয়াকে নিয়ে খেলায় মা’তলেন ডিসি

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজে’লার হেলতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে পরিবারের সব স্বজন হা’রানো সেই মা’রিয়া সুলতানা এখনও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *