ছয় সদস্যের একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের সকালের নাস্তার খরচ ১০ লাখ (১ মিলিয়ন) টাকা।
একটি পাউরুটি ১লাখ টাকা, ৫০০গ্রাম বাটার ৫ লাখ টাকা, ৬টি ডিম ৩ লাখ টাকা, ৬ কাপ চা ১ লাখ টাকা! আপনি এক ঝাঁকা টাকা মা’থায় বয়ে নিয়ে গিয়ে এক কেজি গাজর নিয়ে ফিরতে পারেন।
গল্প নয়, সত্য। দেশটি জিম্বাবুয়ে। হিসাবে সামান্য একটু এদিক-সেদিক হতে পারে বটে, তবে এ রকমটিই জিম্বাবুয়ের বর্তমান বাস্তবতা। দেশটির হাইপারইনফ্লেশন মুল্যস্ফীতিকে এমন যায়গায় নিয়ে গেছে যে গত ১০-১২ বছরে কোনো চেষ্টাতেই আর নিয়ন্ত্রণ আনা যায়নি।
অর্থনীতিবিদ অ’ভিজিত নোবেল পেয়েছেন, টাকা ছাপার প্রয়োজন এবং কার্যকারীতাও তাঁর নখদর্পনে। তবে বাংলাদেশের সোসিও-পলিটিকস অ’তোটা আমলে নেননি বলেই মনে হল। তাঁর ঘরে ঘরে টাকা পৌছানোর প’রাম’র্শ সঠিক মনে হয়। কিন্তু টাকা ছাপার প’রাম’র্শ?
বাংলাদেশ টাকা ছাপলে জিম্বাবুয়ে হবে। কারণ, জিম্বাবুয়ের আর্থ-সামাজিক-রাজনীতির ইতিহাসের সংগেই বেশি মিল বাংলাদেশের; আ’মেরিকা, কানাডা বা সুইজারল্যান্ডের সংগে নয়!