অনেকসময় খেলতে গিয়ে বাচ্চারা না বুঝেই কিছু জিনিস নাকে কানে বা গলায় দিয়ে ফে’লে।ঠিক তখনই বাচ্চার স’ঙ্গে অ’ভিভাবকদেরও বি’পদে পড়তে হয়। অনেক সময় তা অনেক বেশি বি পজ্জ নকও হতে পারে। তাই জে’নে নিন নাকে কানে কিংবা গলায় কোনও বস্তু আ ট’কে গেলে কী’’ করবেন-কানে ঢুকলে কিছু ঢু’কলে
বাচ্চাদের কৌ’তুহলের শেষে নেই। তাই খেলতে খেলতে কোনও ব’স্তু কানে ঢু’কিয়ে দিতে বাচ্চারা দুবার ভাবে না। আর সেখানেই কেলে ঙ্কা’রি। শুধু বাচ্চা নয়, বড়দের ক্ষে’ত্রেও একটি ঘ’টনা ঘ’টতে পারে।
এই প’রিস্থিতিতে সময় থাকতে থাকতে স’ঠিক সি’দ্ধান্ত নেওয়া অ’ত্যন্ত জ’রুরি। কানের ফুটোর মধ্যে পোকামাকড়, মশা-মাছি প্র’ভৃতি ঢু’কে আ’ট’কে পড়ে, সে ক্ষে’ত্রে বাড়িতে নিজে’রা খোঁ’চাখুঁচি করলে সম’স্যা আরও জ’টিল হওয়ার আশ’ঙ্কা থাকে।
শি’শু ছাড়াও বড়দের কানের ভি’তরে পোকামাকড়, মশা-মাছি অনেক সময় ঢু’কে যায়। এক্ষে’ত্রে জ রুরি ভি’ত্তিতে শি’শুকে অথবা আ ক্রা’ন্ত ব্য’ক্তিকে চিকি’ত্সকের কাছে নিয়ে যেতে না পারলে বাড়িতে প্রথমেই বুঝতে চেষ্টা করুন, কানের মধ্যে যে জিনিসটি ঢু’কেছে, সেটি জী’বন্ত কিছু না কি জড় পদার্থ।
জড় পদার্থ ঢু’কে থাকলে চিকি’ত্সকের কাছে যেতে সা’মান্য দেরি হলেও অ’সুবিধা নেই। কিন্তু কানে মশা-মাছি, তেলাপোকা, পিঁপড়ে বা অন্য কোনো জীব ঢু’কে পড়লে সেটিকে মে রে ফে লতে চে’ষ্টা ক’রতে হবে,
না হলে কানের ভেতরে আ’ট’কা পড়া প্রা’ণীটির ন’ড়াচড়ার কারণে শি’শুর কানে ব্য’থা ও অস্ব’স্থি হতে থাকবে। নিজে’রা চেষ্টা করলে অনেক সময় কানের পর্দা ছি’দ্র হয়ে যায় অথবা কানের ভি’তরে ক্ষ’ত হয়ে যায়।
এমন সম’স্যার ক্ষে’ত্রে হাতের কাছে পাতলা যেকোনো ধ’রনের তেল (অলিভ ওয়েল অথবা নারিকেল তেল) ধী’রে ধী’রে ফোটায় ফোটায় কানের মধ্যে দিন। বাড়িতে এর বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। এরপর যত দ্রু’ত স’ম্ভব, শি’শুকে হাসপাতা’লে নিয়ে যাওয়া উচিত। আবার উ’দ্ভিজ্জ ব’স্তু ঢু’কে গে’লে যেমন ধ’রুন মটরশুঁটি সেই ব’স্তুর কানের ভি’তরে বেড়ে ওঠার ভ’য় থাকে।
এক্ষে’ত্রে মটরশুঁটি কানের ঘাম ও আবহাওয়ার কারণে ফুলে যেতে পারে। ফলে কানের ব্য’থা বাড়ে। সেই ব’স্তুটিকে বের করার সময়ও বেগ পেতে হয়। তাই এক্ষে’ত্রে একদ’ণ্ড সময় ন’ষ্ট না করে বিশেষ’জ্ঞ চিকি’ত্সকের কাছে আনতে হবে। এর আগে অ’বশ্য নি’র্দিষ্ট কানে দুই-এক ফোঁটা গ্লিসারিন দেওয়া দরকার। কানে গ্লিসারিন দিলে উদ্ভি’জ্জ বস্তু’টি আ’কারে ছোট হয়ে যাবে। কমবে ব্য’থা।
আবার বেশ কিছু মানুষ কানে জল ঢো’কার সম’স্যার অ’ভিযোগ করেন। তবে সত্যি বলতে, কানে ঢোকা জল আপনা থেকেই বেরিয়ে আসা বা উবে যাওয়া দরকার। তাই বেশি চিন্তা নয়। কিছুক্ষণ অ’পেক্ষা করলেই সম’স্যা মিটে যাবে। চাইলে কানে গরম সেক দিতে পারেন। তবে বারংবার কানে জল ঢু’কে যাওয়ার ঘ’টনা ঘ’টার অর্থ হতে পারে কানের পর্দায় ছি’দ্র রয়েছে। তাই বারবার এই ঘ’টনা ঘ’টলে একবার অ’ন্তত চিকি’ত্সকের কাছে আ’সতে হবে।
নাকে কিছু ঢু’কলে
নাকে কোনও কিছু ঢুকলে, সম’স্যার শেষ থাকে না। যদি দেখেন যে ব’স্তুটি নাকে ঢু’কে গেছে তা ধা’রালো কোনও ব’স্তু নয়, গোল ব’স্তু নয় বা ব’স্তুটি বের করার মতো অব’স্থায় রয়েছে তা আঙুল বা চি’মটে দিয়ে বের করে নিতেই পারেন। তবে সা’বধান থাকতে হবে। খেয়াল রাখবেন, বাচ্চারা অনেক সময় কোনও ব’স্তুকে নাকের ভি’তর ঠে লতে ঠে লতে অনেক গ ভীরে নালীর ম’ধ্যে ঢু’কিয়ে ফে’লে।
এমন অ’বস্থায় খালি চোখে নাকের ভি’তরে সেই ব’স্তুটিকে আর দেখা স’ম্ভব হয় না। এখানে মনে রাখার বিষয় হল, নাকে কোনও ব’স্তু ঢু’কলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই নাকে সর্দি হয়। জল পড়ে টপটপ করে। তখন নাকে ব’স্তু ঢু’কে রয়েছে বলে ধ’রে নিয়ে চিকি’ত্সকের কাছে যাওয়ার ভালো।
নাকে কী’’ আছে তা ডাক্তারেরা এ’ক্সরে করে নি’শ্চিত হন। ধা’তব বাদে অন্য ধ’রনের কোনও ব’স্তু হলে নাকের মধ্যে ক্যা’মেরাযু’ক্ত নল ঢু’কিয়ে দে’খেন ডাক্তারেরা। বস্তু এবং তার অব’স্থান স’ম্ব’ন্ধে নি’শ্চিত হওয়ার পর বিশেষ’জ্ঞ চিকি’ত্সকরা বিভিন্ন য’ন্ত্র ব্যবহার করে সেই ব’স্তুটিকে বাইরে বের করে দেন। তাই নাকে কিছু আ’ট’কে গে’লে দেরি না করে অব’শ্যই চিকি’ত্সকের কাছে যান।
গলায় ঢু’কলে
গলায় কাঁ টা ঢু কলে অনেকেই নানা কিছু করার প’রাম’র্শ দিয়ে থাকে। তাতে খুব এখটা কাজ দেয় না। ভু’ক্তভোগী মাত্রই জা’নেন, বিষয়টা ঠিক কতটা অ’স্বস্তিকর। তবে ভাত, কলা, রুটির মতো খাদ্যবস্তু খেলে কা’টা নেমে যেতে পারে।সত্যি বলতে, কিছু ক্ষে’ত্রে এই পদ্ধ’তি অব’লম্বন করে কাঁ’টা নে’মে যায়। তবে মুশকিল হল, এই প’দ্ধতির কারণে বেশিরভাগ সময়ই কাঁ’টা গ’লার আরও ভি’তরে ঢু’কে যায়। তখন সেই কাঁ’টা বের করে আনাও ততোধিক ক’ঠিন হয়ে পড়ে। তাই প্রথমেই এসব ধা’রণা থেকে দূ’রে সরে আসুন।
তবে শুধু মাছের কাঁ’টা নয়, মাংসের টুকরো, ধানের তুষ সহ আরও হাজারো জিনিস গলায় গেঁ’থে যেতে পারে। সাধারণত টনসিলে বা জিভের পিছনের দিকেই এই ব’স্তুগু’লি গেঁ’থে যায়। এক্ষে’ত্রে প্রাথমিকভাবে হাত দিয়ে বের করার চেষ্টা করা যেতে পারে। জলপান করেও দেখা যেতে পারেন।
জলপানে সাধারণত আ’ট’কে থাকা ব’স্তু না বেরলেও, সেই ব’স্তু কোথায় আ’ট’কে রয়েছে, তা বোঝা যায়। ঢুকে থাকা ব’স্তু না বে’রিয়ে আ’সলে অ’বশ্যই চিকিত্স’কের কাছে আসতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আরেকটি বড় সম’স্যা হল তা অনেক সময়ই পেনের ক্যাপ, খেলনার টুকরো গলায় আ’ট’কে ফে’লে। তাই অ’ভিভাবকদের দের না করে বাচ্চাকে নিয়ে চিকি’ত্সকের কাছে যাওয়া দরকার।না হলে বি’পদ বাড়তে পারে।