পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক দ্য ফারমা’র্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের অ’ভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতা’লের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সাত দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেছেন আ’দালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইম’রুল কায়েশ শুনানি শেষে এ রি’মান্ড মঞ্জুর করেন। রি’মান্ডের আদেশের পর সাহেদ বিচারকের উদ্দেশে বলেন, স্যার রি’মান্ডটা একটু কনসিডার করেন।
রি’মান্ড শুনানিতে সাহেদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানির শুরুতে বিচারক সাহেদকে বলেন, আপনার কি কিছু বলার আছে? সাহেদ তখন বলেন, স্যার বিশ দিন ধরে রি’মান্ডে আছি। সামনে আরও ২৭ দিনের রি’মান্ড আছে। আমি খুব অ’সুস্থ। বিষয়টা বিবেচনা করেন।
এরপর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল শুনানিতে বলেন, সাহেদ পদ্মা ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করেন। তাকে রি’মান্ডে নিলে প্রকৃত র’হস্য উদঘাটন হবে। এরপর বিচারক তার সাত দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।
রি’মান্ড শুনানির আগে সাহেদকে কারাগার থেকে আ’দালতে হাজির করা হয়। রি’মান্ড শুনানি শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইম’রুল কায়েশের আ’দালতে সাহেদকে ১০ দিনের রি’মান্ডে নিতে আবেদন করেন মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্ম’দ শাহ’জাহান মিরাজ। বিচারক তার উপস্থিতিতে রি’মান্ড শুনানির জন্য ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
২৮ জুলাই সাহেদকে এ মা’মলায় গ্রে’ফতার দেখানোর আবেদন করেন মা’মলার ত’দন্ত কর্মক’র্তা। আ’দালত ৫ আগস্ট তার গ্রে’ফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু সাহেদ অন্য মা’মলায় রি’মান্ডে থাকায় এ দিন গ্রে’ফতার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয়নি।
এর আগে ২৭ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্ম’দ শাহ’জাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বি’রুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জে’লা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মা’মলা’টি করেন। পরের দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আ’দালতের বিচারক কে এম ইম’রুল কায়েশ মা’মলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
মা’মলার অ’ভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি সময়ে আ’সামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অ’পব্যবহার করে অর্থ স্থা’নান্তর,
রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদাসলসহ ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থিতি দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন। আ’সামিদের বি’রুদ্ধে দ’ণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দু’র্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মা’মলা হয়।
মা’মলার আ’সামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতা’লের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং হাসপাতা’লের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রে’ফতার করে র্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। ১৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থা’নার প্রতারণার মা’মলায় সাদেহের ১০ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন আ’দালত।
২৬ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থা’নায় তিন ও উত্তরা পূর্ব থা’নায় প্রতারণার মা’মলায় সাত দিন করে ২৮ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন আ’দালত। একই দিন সাতক্ষীরার অ’স্ত্র মা’মলায় তার ১০ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করা হয়।