করো’না ভাই’রাসের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর চলতে শুরু করা খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। শুরুতে লোক দেখানো স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও এখন আর তোয়াক্কা করছে না বেশির ভাগ পরিবহনই।
লোকাল বাসগুলোতে ওঠানামার ধাক্কাধাক্কি উদ্বেগজনক। সাতক্ষীরার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৬৪ কিলোমিটার। দীর্ঘ এ পথ স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন হাজারও যাত্রী, যা দেখার কেউ নেই।
অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। হেলপাররা আগের মতো জোর করে টেনে টেনে যাত্রী তুলছেন। কোনো পরিবহনে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে না। যাত্রীরা আগের মতো হুড়োহুড়ি করে বাসে উঠছেন। বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। টিকিট কাউন্টারগুলোতে মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট বিক্রির কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। বাসে ওঠার আগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার কথা। তবে অনেক বাস কাউন্টারে নামে মাত্র স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। অনেক যাত্রীই মুখে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সড়কে চেকপোস্ট থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি চেক করা হয় না।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা জুবায়ের মোস্তাফিজ জানান, সরকারি স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনায় বলা হয়েছে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। বাস টার্মিনালে কোনোভাবেই ভিড় করা যাবে না। তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রীরা গাড়ির জন্য লাইনে দাঁড়াবেন এবং টিকিট কাটবেন। স্টেশনে পর্যাপ্ত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাসে কোনো যাত্রী দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন না। বাসের সব সিটে যাত্রী নেওয়া যাবে না। পরিবারের সদস্য হলে পাশের সিটে বসানো যাবে, অন্যথায় নয়। যাত্রী, চালক, সহকারী, কাউন্টারের কর্মী সবার জন্য মা’স্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। ট্রিপের শুরুতে এবং শেষে বাধ্যতামূলকভাবে গাড়ির অভ্যন্তর ভাগসহ পুরো গাড়িতে জী’বাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। যাত্রীদের হাতব্যাগ, মালামাল জী’বাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করতে হবে। এসব নিয়মের কোনো বালাই নেই খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গণপরিবহনে।
স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে সাতক্ষীরা থেকে খুলনায় আসা এসআর পরিবহনের হেলপার ও কন্ডাকটররা বলেন, ‘আমরা যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে বলি কিন্তু তারা মানে না। আর আমরা এভাবে চলি তা সবাই জানে। ’
খুলনা ও সাতক্ষীরা বাস মালিক সমিতিরও কোনো মাথা ব্যথা নেই এ নিয়ে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।