মা’রধ’র ক’রতেন স্বামী। গায়ে কালশিটে দাগ পড়ে যেত। কিন্তু লোককে বুঝতে দেয়া চলবে না। তিনি যে ‘অভিনেত্রী’। তাই মেকআপ করে ঢাকতে হত সেই দাগ। বাইরে থেকে জীবনটা জমকালো দেখালেও ভেতরে ভেতরে এমনভাবেই দিন কাটাতেন কারিশ্মা কাপুর।
স্বামী সঞ্জয় কাপুরের স’ঙ্গে স’স্পর্ক এমনটাই তিক্ত হয়ে গিয়েছিল যে ২০১৬ সালে বি’চ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। এরপরেই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। কারিশ্মা’র আ’ইনজীবী ক্রান্তি বলেন, কারিশ্মা’র ছেলের তখন ছয় মাস। স্বামীর স’ঙ্গে আমেরিকায় যাওয়ার কথা ছিল তার।
কিন্তু অসু’স্থ ছেলেকে ফে’লে আমেরিকা যাওয়া সেই মুহূ’র্তে কারিশ্মা’র পক্ষে মোটেও সম্ভব ছিল না। ওই অব’স্থায় অভিনেত্রীকে রেখে সঞ্জয় একাই চলে যান সেখানে। ছেলে একটু সু’স্থ হলে কারিশ্মা সেখানে পৌঁছান। এমনও হয়েছে হোটেলে রাতের পর রাত ফেরেননি সঞ্জয়।
কোথায় গিয়েছেন, জা’নানোর প্রয়োজনও মনে করেননি। ছেলে কেমন আছে সে বিষয়েও খুব একটা খেয়াল ছিল না তার। এখানেই শেষ নয়, ক্রান্তির কথায়, কারিশ্মাকে সঞ্জয়ের মায়ের দেয়া একটি জামা পরতে বলেছিলেন। কিন্তু সে সময় কারিশ্মা অ’ন্তঃস’ত্ত্বা।
তাই তার গায়ে ফিট হচ্ছিল না সেই জামা। সঞ্জয় রেগে গিয়ে তার মাকে কারিশ্মাকে চড় মা’রতে বলে। এমনকি মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে নাকি সঞ্জয়ের এক ব’ন্ধুর স’ঙ্গে ‘বিশেষভাবে মেশার’ জন্যও চা’প দিয়েছিলেন কারিশ্মাকে। অন্যদিকে সঞ্জয়ের পক্ষের আ’ইনজীবী দা’বি করেছিলেন সঞ্জয়ের টাকার জন্যই নাকি তাকে বিয়ে করেছিলেন কারিশ্মা।
যদিও এই অ’ভিযোগকে নস্যাৎ করে কারিশ্মা’র বাবা রণধীর কাপুর বলেছিলেন, সবাই জা’নেন আমাদের ক্ষ’মতা। আম’রা কাপুর, আমাদের কারো কাছ থেকে টাকা নেয়ার প্রয়োজন হয়না। রণধীর আরো বলেন, সঞ্জয় একজন অত্যন্ত নীচু ব্য’ক্তি।
আমি কখনোই চাইনি কারিশ্মা ওকে বিয়ে করুক। কারিশ্মা’র স’ঙ্গে বিয়ে হওয়ার পরেও অন্য মহিলার স’ঙ্গে ওর স’স্পর্ক ছিল। ২০০৩ সালে সঞ্জয়কে বিয়ে করেন কারিশ্মা। এতটাই বিশাল আয়োজন হয়েছিল যে হইচই প’ড়ে গিয়েছিল ভারত জুড়ে।
কিন্তু শেষটা হল তিক্ততার মধ্যে দিয়েই। ২০১৬ সালে বি’চ্ছিন্ন হয়ে যান সঞ্জয় এবং কারিশ্মা কাপুর। বর্তমানে যদিও সে সব অতীত ভুলে নতুন করে জীবন শুরু ক’রেছেন অভিনেত্রী। পাশে পেয়েছেন বোন কারিনা কাপুরকে। রয়েছেন কাপুর পরিবারের বাকি সদস্যরাও।