Breaking News

স্বচ্ছ পিপিই এবং নার্সের অন্তর্বাস কাণ্ড

বিশ্বজুড়ে এখন আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস! প্রতিদিন হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। রোগীদের চিকিৎসায় এবং এই ভাইরাস থেকে নিজেদের বাঁচাতে চিকিৎসক, নার্সদেরও পোশাক নিয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে। এজন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ পোশাক পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই)।

পিপিই নিয়ে বিশ্বের সব দেশেই কম-বেশি আলোচনা রয়েছে। তবে এবার পোশাকটি আলোচনায় এসেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক কারণে। হাসপাতালের একজন নার্স পিপিই’র নিচে শুধু অন্তর্বাস পরে চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় এই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রাশিয়ার টুলা শহরে। রাজধানী মস্কো থেকে ১০০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত এই শহরের একটি হাসপাতালে পুরুষ করোনা রোগীদের সেবার দায়িত্বে রয়েছেন এই সেবিকা। কিন্তু সদ্য কুড়িতে পা দেওয়া এই সেবিকার কাণ্ড দেখে সবাই অবাক! স্বচ্ছ পিপিই-এর নিচে শুধু অন্তর্বাস পরে দিব্যি নিজের কাজ করে চলেছেন তিনি। ওই ওয়ার্ডে থাকা এক রোগীর কল্যাণে বিষয়টি এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল।

জানা গেছে, ওই নার্স দাবি করেছেন, পিপিই’র নিচে অন্য পোশাক পরাটা অনেক কষ্টের। এতে রোগীর সেবাদানে তার ব্যাঘাত ঘটে। সবচেয়ে বড় সমস্যা প্রচণ্ড গরম! যে কারণে তিনি এই ব্যবস্থা নিয়েছেন। তবে পিপিই পরার পর ভেতরের পোশাক দেখা যাবে শুরুতে তিনি বুঝতে পারেননি।

তবে কোনো অজুহাতই মানতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ। নার্সের এই পোশাকে রোগীরা অভিযোগ না জানালেও হাসাপতালের পোশাক পরিধানের নিয়ম না মানায় এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।

এদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশের পর পাঠক বিভিন্ন মতামত জানিয়েছেন। সার্জে র‌্যাটনিকভ নামে এক পাঠক মন্তব্য করেন, ‘এই বিষণ্ণ সময়ের মধ্যেও কারো হাস্যরসবোধ প্রকাশ পেল।’

মারিনা আসতাকোভা নামে একজন বলেন, ‘খুব ভালো, সে রোগীদের মনের অবস্থা চাঙা করছে।’

অন্যদিকে এই সেবিকাকে শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ভ্যালেরি ক্যাপনিন। তিনি বলেন, ‘তাকে কেন সাজা দেওয়া হলো? তাকে পুরস্কার দেওয়া উচিত। এই পোশাকে তাকে দেখে কেউ-ই অন্তত মরতে চাইবে না।’

About Utsho

Check Also

হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হওয়ার কারণ কী?

ঘুরতে নিশ্চয় ভালোবাসেন! আর দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া মানেই হচ্ছে কোনো না কোনো হোটেলে রাত্রি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *