বিশ্বের অনেক দেশ এখন সৃষ্টির আদিম নে’শা ‘যৌ’নতার’ ওপর ভর তাদের পর্যটন শিল্পকে বাড়াতে তৎপর হয়েছে। যেটাকে একটি নামও দেওয়া হয়েছে, ‘সেক্স ট্যুরিজম’। পর্যট’করাও যৌ’নতার ক্ষুধা মেটাতে ছুটে যাচ্ছেন এসব দেশে। নারী সান্নিধ্যের আশায় পাড়ি জমাচ্ছেন দেশ থেকে দেশে।
বিভিন্ন দেশ থেকে যৌ’নকর্মীরাও রোজগারের আশায় ছুটছেন ওইসব দেশে। আর সেক্স ট্যুরিজমের মানচিত্রে নিত্যনতুন যু’ক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দেশ। জেনে নিন সে’ক্স ট্যুরিজমে জনপ্রিয়তার নিরিখে তালিকার প্রথম দিকে থাকা কয়েকটি দেশ ও স্থানের নাম।
১) থাইল্যান্ড: সেক্স ট্যুরিজমে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি নাম থাইল্যান্ড। পর্যট’কদের মনোরঞ্জনে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যৌ’নকর্মীরা এসে ভিড় করে এখানে। দেশটির একাধিক স্থানে গড়ে উঠেছে যৌ’নতাকেন্দ্রীক পর্যটন শহর। দিনের বেলা সেসব জায়গা যতটা নিরব, রাত নামতেই ঠিক ততটাই সরব। লাল-নীল আলোয় রাতভর যেন ভিন্ন এক পরিবেশ। অসংখ্যা ম্যাসেজ পার্লার, স্পা ও নাইট’ক্লাবের ছদ্মবেশে চলে অবাধ যৌ’নতা।
দ্বিতীয় বিশ্বযু’দ্ধের পর থেকে অর্থনীতিকে মজবুত করতে সেক্স ট্যুরিজমকেই হাতিয়ার হিসেবে বেঁছে নেয় দেশটি। তাই দেশটি বিশ্বের নানা দেশের পর্যট’ককে সহ’জেই আকৃষ্ট করছে। তবে সেখানকার যৌ’নকর্মীরা এশিয়ানদের একটু কমই পছন্দ করে। তাদের ধারণা, এশিয়ানদের পকে’টে অর্থ একটু কমই থাকে। তাই এড়িয়ে যেতে চায়। অন্যদিকে পশ্চিমা বিশ্বের পর্যট’ক পেলে নানাভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে।
২) রাশিয়া: গত এক দশকে রাশিয়ায় দেহ ব্যবসার রম’রমা শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর আ’মেরিকা ও ইউরোপের অন্যান্য দেশের পর্যট’করাই এখানে যৌ’নতার টানে ছুটে আসেন। তবে রুশ যৌ’ন বাজারে দালালদের দাপট বেশি। তাই, দালাল থেকে সাবধান থাকা’টা খুব দরকার৷
৩) আর্জেন্টিনা: পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। ১৮৮৭ সাল থেকে এদেশে বৈধতা পেয়েছে সমকামিতা। এই কারণে আর্জেন্টিনায় সমকামী দেহ ব্যবসায়ীর চাহিদা তুঙ্গে। সরকারের পক্ষ থেকেও সমকামী পর্যট’কদের আকর্ষণ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যৌ’ন পর্যটনের হাত ধরেই অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চাইছে ম্যারাডোনা-মেসির দেশ।
৪) বুলগেরিয়া: যৌ’ন পর্যটনের পীঠস্থান সানি বিচ রিসোর্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বাস্তব ও কল্পনার অভাবনীয় মিশেল। শোনা যায়, এই সৈকতে প্রতিদিন কয়েক হাজার দেহ ব্যবসায়ী ভিড় জমান। তাঁদের অনেকেই আসেন প্রতিবেশী দেশ থেকে। অনেকটা খুল্লাম খুল্লা এই সানি বিচ।
কে কী’ পরে ঘুরলো, আর কে কিছু পরলো না তা নিয়ে মা’থা ঘামায় না কেউ। এই বিচ রিসোর্টটি বিভিন্ন পানির খেলা এবং যৌ’নতায় ভরা রাতের পরিবেশের জন্য বিখ্যাত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যট’করা বুলগেরিয়ায় ছুটে যান সানি বিচ রিসোর্ট’কে উদ্দেশ্য করে।
৫) দক্ষিণ কোরিয়া: এদেশে যৌ’নতা নিয়ে শুচিবায়ু নেই। ক্ষণিকের শয্যাসঙ্গী জোগাড় করতে বিশেষ পরিশ্রম করতে হয় না। গুরুত্বপূর্ণ শহরগু’লিতে রয়েছে একাধিক এসকর্ট সার্ভিসের ব্যবস্থা। হোটেলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ঘর ভাড়াও মেলে সুলভে। সস্তায় যৌ’নসঙ্গী মিলে যাওয়ায় ভ্রমণের জন্য অনেকেরই পছন্দ দেশটি।
৬) নেপাল: বিশ্বের আরেকটি পর্যটননির্ভর দেশ হিমালয়কন্যা নেপাল। প্রতি বছর লাখো পর্যট’ক দেশটিতে ছুটে যান প্রাকৃতিক নৈস্বর্গের পরশ পেতে। এরমধ্যে একটি অংশ সেখানে যান যৌ’নতার টানে। দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখরা ও তরাইয়ের শহরাঞ্চলে দেহ ব্যবসা রম’রমা। বাণিজ্য জমে ওঠে হোটেলের দামি ঘর থেকে শুরু করে নিষিদ্ধপল্লির অন্ধকার আস্তানায়। কাঠমান্ডুর থামেলে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে ম্যাসাজ পার্লার, যেখানে অ’বৈধ দেহ ব্যবসার পসার সাজানো। এছাড়া বিভিন্ন রেস্তোরাঁর কেবিন ও ডান্স বারগু’লিতেও দেহ’জ বিনোদনের ছড়াছড়ি।
৭) কম্বোডিয়া: সেক্স ট্যুরিজমের জন্য বিখ্যাত আরেকটি দেশ কম্বোডিয়া। বিশ্বের অন্যতম বড় যৌ’ন ব্যবসা চালায় এই দেশটি, তবে তার বেশির ভাগই অ’বৈধ। আইনের ফাঁক গলে অবাধ যৌ’নতার হাতছানিতে সাড়া দিতে প্রতি বছর দেশটিতে ছুটে আসেন বিশ্বের কামতাড়িত লাখো মানুষ।
৮) প্রাহা: স্লো’ভাকিয়ার প্রাহা শহর ১৯৮৯ সাল থেকে ইউরোপের যৌ’নতার রাজধানী তকমা পেয়েছে। অসংখ্য জেন্টলম্যানস ক্লাব অথবা রিল্যাক্সেশন ক্লাবে অল্প খরচে শরীরী বিনোদনের সম্ভা’র মেলে।
৯) কলম্বিয়া: দরিদ্র দেশ হওয়ায় অনেকটা সস্তায় যৌ’নসঙ্গী মিলে যায় দেশটিতে। অন্যান্য দেশের তুলনায় সস্তা বলে যৌ’ন পর্যটনস্থল হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশটি। দরিদ্র দেশে এসে নামমাত্র খরচে দেদার ফূর্তি লুটতে প্রতি বছর পাড়ি জমান ইউরোপ ও আ’মেরিকার পর্যট’করা।
১০) কিউবা: নিসর্গ, সংস্কৃতি ও চুরুটের স্বর্গরাজ্য খ্যাত দ্বীপরাষ্ট্র কিউবায় প্রতি বছর পাড়ি জমান অজস্র পর্যট’ক। তবে এদের বড় একটি অংশ আসেন যৌ’নতার আকর্ষণে। শুধু প্রাপ্তবয়স্ক নয়, নাবালক যৌ’নসঙ্গীও সুলভে মেলে এই দেশে।
১১) জামাইকা: শুধুমাত্র দেশের দেহ ব্যবসায়ীরাই নন, ভ্রমণরত বহু নারী পর্যট’কও এদেশে শরীর বিকোতে দ্বিধাবোধ করেন না। অনেক নারী পর্যট’ক ভিসা নিয়ে এই দেশে আসেই ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি কিছু রোজগার করে দেশে ফিরতে।
১২) কেনিয়া: আফ্রিকার এই দেশে যৌ’ন ব্যবসার নানা রূপ। স্ট্রিপ ডান্স বার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রিসোর্ট ও স্পা-তে সুলভে দৈহিক চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা রয়েছে । এমনকি ছুটি কা’টাতে এসে টানা কয়েক দিনের জন্যও সঙ্গী মেলে কেনিয়ায়। তাকে নিয়ে স্ত্রী’র মতো একসঙ্গে থাকা, ঘুরে বেড়ানো সবই করতে পারবেন, শুধু ফেরার সময় চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিয়ে আসবেন।
১৩) ম্যাকাউ: চিনের যৌ’ন ব্যবসা বৃদ্ধির পিছনে নানা কারণ রয়েছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ এখানে যৌ’ন তৃপ্তির খোঁজে ভিড় জমান। দেশটিতে বিভিন্ন গ্যাজেট, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রি যেমন সস্তায় পাওয়া যায়, যৌ’নসঙ্গীর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এমন সস্তায় যৌ’নসঙ্গী মেলে।
১৪) লাটভিয়া: পূর্ব ইউরোপের এই দেশে যৌ’নতার আধিক্য বছরভর পর্যট’ক সমাগমের অন্যতম কারণ। এছাড়া এদেশে ম’দের দামও বেশ সস্তা। ছুটিতে অঢেল ফূর্তি করতে এই কারণেই লাটভিয়াকে ইদানীং পাখির চোখ করেছে ইউরোপ।
১৫) ভেনেজুয়েলা: ভেনেজুয়েলার মা’র্গারিটা দ্বীপে অসংখ্য রিসর্টে যৌ’নতার অবাধ আয়োজন। এদেশে যৌ’ন ব্যবসা বৈধ। পর্যটন-ক্লান্ত পুরুষদের অভ্যর্থনা জানাতে হোটেলের লবিতে ন’গ্ন সুন্দরীদের সারিবদ্ধ উপস্থিতি রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চব্বিশ ঘণ্টা হিসেবে এখানে যৌ’নকর্মীদের ভাড়া করার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কামতাড়িতা মধ্যবয়সীনিদের জন্য তরতা’জা তরুণও এখানে সহ’জলভ্য।
১৬) আমস্টারডাম: কথিত আছে, নেদারল্যান্ডের এই শহরেই বিশ্বের সেরা সুন্দরী দেহ ব্যবসায়ীদের দেখা মেলে। এখানে যৌ’ন ব্যবসা সম্পূর্ণ বৈধ ও সরকার নিয়ন্ত্রিত বলে অ’ত্যন্ত নিরাপদ। এখানকার যৌ’ন ব্যবসার খ্যাতি সারা বছর কয়েক কোটি পর্যট’ককে আকর্ষণ করে।
১৭) লাস ভেগাস: আ’মেরিকার এই শহর সব পেয়েছির ঠিকানা। শহরে যৌ’নতার রম’রমা স’ম্পর্কে ইঙ্গিত করতে বলা হয়, হোয়াট হেপেনস্ ইন ভোস, রিমেইনস ইন ভেগাস। এখানে যৌ’নতা শুধু ব্যবসা অথবা বিনোদন নয়, শরীরী ভাষা উদযাপনেরও মাধ্যম। ম’রুভূমি অধ্যূষিত নিসর্গে অচেনা সঙ্গীর দেহ’জ সান্নিধ্য বেঁচে থাকার ক্ষণিক রসদ জোগায় বই কি!
১৮) গ্রিস: ব্যবসায়িক যৌ’নতা বৈধ গ্রিসে। প্রতি ২ সপ্তাহ অন্তর অন্তর চিকিতৎসকরা দেহপসারীনিদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করেন। তবে এখানে বহু মহিলাই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পাচার হয়ে আসেন। গ্রিসের দেহ-দাস প্রথার বি’রুদ্ধে আ’ন্দোলনে সামিল হয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
১৯) তেল আভিভ: গোটা ইজরায়েলের মতোই এই শহরেও যৌ’নতা নিয়ে কোনও লুকোছাপা নেই। বিশ্বের যৌ’ন পর্যটনের তালিকায় অবশ্য সদ্য নাম তুলেছে তেল আভিভ।
২০) বাহারাইন: তথাকথিত রক্ষণশীল এই দেশটিতে ইদানীং দেহ ব্যবসা বেশ রম’রমা। খরচও পড়ে ইউরোপের তুলনায় অনেক কম।
২১) জা’পান: বিশ্বের যৌ’ন পর্যটন মানচিত্রে জা’পানি সেক্স ট্যুরের চাহিদা এখন প্রবল। বিভিন্ন বাজেটের যৌ’ন পর্যটনের ব্যবস্থা রয়েছে এদেশে।
২২) ব্রাজিল: শুধুমাত্র ফুটবল বা কফি নয়, লাতিনীয় সুন্দরীদের দেহের ভাঁজে কুপোকাত গোটা দুনিয়া। এই বিষয়টি মা’থায় রেখেই যৌ’ন পর্যটনের অন্যতম সেরা ঠিকানা হিসেবে গত এক দশকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্রাজিল। দেহ-বিলাসের বিবিধ উপকরণে ঠাসা দেশটি।
২৩) কোস্টারিকা: আকর্ষণীয় দৈহিক গড়নের কারণে যৌ’নতায় কোস্টারিকার নারীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যট’কদের পছন্দের শীর্ষে। আর এ সুযোগ নিয়ে দেহ ব্যবসার হাত ধরে দেদারছে ডলার কামাচ্ছে দেশটি।
২৪) কানাডা: যৌ’নতার বাজারে সবে নাম লিখিয়েছে কানাডা। আ’মেরিকানরাই এখানকার দেহ ব্যবসায়ীদের প্রধান খদ্দের। যৌ’নতা স’ম্পর্কে এখানকার ঢিলেঢালা আইন প্রতি বছর কাতারে কাতারে পর্যট’ককে আকর্ষণ করছে কানাডার নানা প্রান্তে।
২৫. ইন্দোনেশিয়া: ইন্দোনেশিয়ায় দেহ ব্যবসা শুধু আইনত স্বীকৃত-ই নয়; সেক্স ট্যুরিজম সে দেশের সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের উপায়। তবে অবাধ যৌ’নতার জেরে ইন্দোনেশিয়ায় জো’র করে দেহ ব্যবসায় নামানো বা নাবালিকা অ’ত্যাচার ক্রমেই বাড়ছে। বিষয়টি সে দেশের সরকারকেও ভাবিয়ে তুলেছে।
২৬. নেদারল্যান্ডস: দেহ ব্যবসা নেদারল্যান্ডসে খুবই জনপ্রিয়। যৌ’নতা নিয়ে নেদারল্যান্ডসে কোনও সামাজিক বাধা নেই, নেই আইনগত বাধাও। অবাধ যৌ’নতাই সে দেশের ট্র্যাডিশন। আর এমন খুল্লামখুল্লা পরিবেশের টানে অনেক পর্যট’কই ছুটে যান দেশটিতে।