সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃ’ত্যুর পর বারবারই উঠে আসছিল ‘স্বজনপোষণ’-এর তত্ত্ব। তবে প্রাক্তন প্রেমিকের মৃ’ত্যুর ঘটনায় স্বজনপোষণের তত্ত্ব একপ্রকার খারিজ করে দিলেন অঙ্কিতা লোখান্ডে!
তাঁর সাফ বক্তব্য, ”করণ জোহরের কথা বলতে পারবো না, তবে একতা কাপুর, সঞ্জয়লীলা বনশালি, আদিত্য চোপড়া সবসময়ই সুশান্তের পাশেই ছিলেন।”সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অঙ্কিতাকে প্রশ্ন করা হয়, কঙ্গনা বলেছেন, রিয়া তো সামান্য মাত্র, ওর পিছনে বড় কোনও কারোর হাত আছে।
আপনি কি বলিউড মাফিয়া, স্বজনপোষণকে সুশান্তের মৃ’ত্যুর কারণ বলে মনে করেন? অঙ্কিতা বলেন, ”আমি নিজেও বলিউডে নতুন। এতকিছু বলতে পারবো না। সুশান্ত সম্পর্কে আমি বলতে পারি, যা জানি না তা কীভাবে বলব? স্বজনপোষণ সর্বত্র রয়েছে। এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। ”
অঙ্কিতার কথায়, ”এখানে সঞ্জয়লীলা বনশালির প্রসঙ্গ আসছে, এই প্রসঙ্গে বলি, সঞ্জয় স্যার সুশান্তকে অনেক ছবির প্রস্তাবই দিয়েছিলেন। আমাকেও দিয়েছিলেন। আমি নির্দিষ্ট কিছু কারণে করিনি। সুশান্ত ওর নিজের কিছু কারণে করেনি। সঞ্জয় স্যার সবসময়ই প্রতিভাকে সুযোগ দিয়েছেন।
এটা আমি বলতে পারছি, কারণ, সঞ্জয়লীলা বনশালি যখন সুশান্তকে ছবির প্রস্তাব দেন, তখন আমি ওর সঙ্গে ছিলাম। একতা কাপুরের প্রসঙ্গে বলি, সুশান্ত যখন পবিত্র রিস্তা ছাড়লো, তখন ও কী চায়, সেটা ওর কাছে স্পষ্ট ছিল। সুশান্ত তো কাই পো চে করেছিল,
যদি একতা ম্যাম চাইতেন, ওই ছবিটা থেকে সুশান্তকে বাদ দিতে বলতে পারতেন। আমি দেখেছি, সুশান্তের সঙ্গে একতা ম্যামের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল। সুশান্তের সঙ্গে একতা কাপুরের মতবিরোধ হতে পারে, তবে সম্পর্ক খারাপ হয়নি কখনও। স্বজনপোষণ আছে ও থাকবে, তবে সম্পর্কও এখানে গুরুত্ব পায়। তাঁরা সাহায্যও করেন।”
করণ জোহর প্রসঙ্গে অঙ্কিতা বলেন, ”ওনার কথা বলতে পারবো না, কারণ, সুশান্ত যখন করণ জোহরের ছবি করছিল, আমি তখন ওর সঙ্গে ছিলাম না। ততদিনে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তবে আদিত্য চোপড়ার প্রসঙ্গে বলি,
আমি সুশান্তকে আদি স্যারকেও বারবার ফোন করতে দেখেছি। কোনও সমস্যা হলেই সুশান্ত ওনাকে ফোন করতেন। উনি সাহায্যও করতেন। আদি স্যার যদি কখনও ফোন ধরতে না পারতেন, ওইদিনই আবার কল ব্যাক করতেন। আমি এগুলো সামনে থেকে দেখেছি, তাই মনে আছে। বাকি আমি জানি না।”