সাহেদের উত্তরা রিজেন্ট অফিস থেকে উ’দ্ধারকৃত পাসপোর্টে চার দেশের ভিসা ছিল। রেব বলছে, ওই চার দেশে সাহেদের অর্থ পাচারের তথ্য পেয়েছে। রোববার (২৬ জুলাই ) রেব সদর দফতরে ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান রেবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।






রেবের এই কর্মক’র্তা বলেন, আগামীকাল ঢাকা কারাগার থেকে সাহেদকে খুলনায় ৬ দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অ’স্ত্র মা’মলার রি’মান্ড মঞ্জুর হয়েছে সেটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে।






তবে তার কার্যালয় থেকে যে পাসপোর্ট জ’ব্দ করা হয়েছে। সেটিতে চারটি দেশের ভিসা লাগানো ছিল। সাহেদ ওই চারটি দেশেই যাতায়াত করেছেন এবং সেখানেই অর্থ পাচার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছি।






এদিকে সাহেদের অ’স্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মা’মলার রি’মান্ড শুনানির পর আ’দালত ২৮ দিনের এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির এমডি মাসুদ পারভেজের তিন মা’মলায় ২১ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।






সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাহেদ ও মাসুদকে আ’দালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রি’মান্ড শুনানির জন্য আ’দালতে ওঠানো হয়। সাহেদের চার মা’মলায় ১০ দিন করে ৪০ দিন এবং মাসুদের তিন মা’মলায় ১০ দিন করে ৩০ দিনের রি’মান্ড আবেদন করে পু’লিশ।






এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ও হেমায়ত উদ্দিন খান হিরন রি’মান্ডের পক্ষে এবং আ’সামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, শাহ আলম ও মনিরুজ্জামান রি’মান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন।






শুনানির একপর্যায়ে সাহেদ আ’দালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বিচারককে বলেন, ‘আমি তো অন্যায় করেছি। সব অ’প’রাধের সাথে আমি জ’ড়িত। যারা আমা’র বি’রুদ্ধে মা’মলা করেছে, তাদের সব টাকা-পয়সা পরিশোধ করে দেবো।
সাহেদ বলেন, গত ১২-১৩ দিন ধরে আমি কী’ অবস্থার মধ্যে আছি। আমি আর পারতেছি না। প্রেশারের মধ্যে আছি। আমি অ’সুস্থ।’ এ সময় ঈদের পর রি’মান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করার প্রার্থনা জানান সাহেদ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সাহেদের বিরোধিতা করে বলেন, বিনা টাকায় করো’না পরীক্ষা করার কথা থাকলেও আ’সামি রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। সে একজন মহাপ্রতারক। অ’সুস্থ না হয়েও গত ১৬ জুলাই আ’দালতে সে নিজেকে করো’না রোগী দাবি করে। পু’লিশ তার যে রি’মান্ড চেয়েছে আম’রা তা মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। এ সময় আ’সামিপক্ষের আইনজীবীরা রি’মান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভ’য়পক্ষের শুনানি শেষে আ’দালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সাহেদের চার মা’মলায় সাত দিন করে ২৮ দিন এবং মাসুদের তিন মা’মলায় সাত দিন করে ২১ দিনের রি’মান্ডের আদেশ দেন।