সে’নাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহার মৃ’ত্যুর পর ৩ জনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তৎকালীন বাহারছড়া ত’দন্ত কেন্দ্রের প্রধান লিয়াকত। এরমধ্যে ওসি ও এসপিও রয়েছে।
হ’ত্যার বিষয়ে কথা হলেও মা’দক বা অ’স্ত্র উ’দ্ধারের কোন তথ্য ফোনালাপে পাওয়া যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঘটনায় এসপির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আনা হবে আইনের আওতায়।
টেকনাফে পু’লিশের গু’লিতে সে’নাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা নি’হত হওয়ার পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনা ত’দন্তে কাজ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ত’দন্ত কমিটি।
জানা গেছে, ৩১ জুলাই রাত ৯টা ৩০ মিনিটে তৎকালীন বাহারছড়া ত’দন্ত কেন্দ্রের প্রধান লিয়াকত তার ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে তৎকালীন টেকনাফ থা’নার ওসি প্রদীপের অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করেন। তিন মিনিট কথা বলেন তারা।
এরপর ৯ টা ৩৩ মিনিটে মালখানার ইনচার্জ কনস্টেবল আরিফের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেন। তার সাথে ১ মিনিট কথা বলেন। এরপর ৯টা ৩৪ মিনিটে কক্সবাজারের পু’লিশ সুপারের ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করেন লিয়াকত। সেখানে তাদের কথা হয় তিন মিনিট।
কথোপকথনে লিয়াকত ঘটনা স’ম্পর্কে এসপিকে জানান। কিন্তু সেখানে মা’দক ও অ’স্ত্র পাওয়ার কোন কথা উল্লেখ করেননি। এরপর ওসি প্রদীপ কুমা’র দাসের সাথে কথা হয় এসপির।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঘটনাটি ত’দন্ত হচ্ছে। ঘটনায় এসপি’র সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এসপির নাম যদি আসে আম’রা দেখবো, যার নাম আসে দেখবো। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাউকেই ছাড় দিবেন না।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাবেক মেজর সিনহার মৃ’ত্যুর ঘটনা ত’দন্তে যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ত’দন্তের মধ্যে যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন কিংবা যারা দোষ করেছেন বলে প্রমাণিত হবে তাদের ত’দন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের তাদের বিচার করা হবে।’
গত ৩১ জুলাই রাতে শামলাপুরের একটি পাহাড়ি এলাকায় শুটিং শেষে ফেরার পথে তল্লা’শির সময় পু’লিশের গু’লিতে নি’হত হন সে’নাবাহি নীর সাবেক মেজর সিনহা।