রাজধানীর নিজ বাসায় তার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।বিয়ে করছেন সময়ের আলোচিত মডেল এবং নবাগত অভিনেত্রী সানাই মাহবুব সুপ্রভা।শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে নিজেই এই খবর নিশ্চিত করেছেন সানাই। তবে বরের নাম ও পরিচয় প্রকাশ করতে চান না তিনি।
শুধু জানালেন, পাত্র আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী।গণমাধ্যমকে তিনি জানান, বর আওয়ামী লীগের একজন নেতা। দশম সংসদে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন এবং একাদশ সংসদেরও সদস্য। তিনি ডিভোর্সি এবং তিন সন্তানের বাবা।
বরের সঙ্গে তার বয়সের পার্থক্য ২২ বছর বলেও জানান সানাই বরের বিষয়ে এসব তথ্য দিলেও নাম বলতে রাজি হননি সানাই। তিনি বলেন, ‘এটা তো লুকানোর কিছু নাই। কিন্তু এখনই আমি বিষয়টা বলতে চাচ্ছি না। কারণ, এখানে পলিটিক্যাল বিষয় আছে।
তবে সবাইকে জানিয়েই বিয়ে করবো। হঠাৎ বিয়ের কারণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার ওপর পারিবারিক চাপ ছিল। এছাড়া আমার ছোট একটা বোনও আছে। আমি পরিবারের বড় মেয়ে। সেই হিসেবে আমার কিছু দায়িত্বও আছে। সিদ্ধান্তটা আসলে হঠাৎ করে নেইনি।
উনার সঙ্গে আমার গত দেড় বছর ধরে পরিচয় ছিল, বোঝাপড়া ছিল।বয়সের এত পার্থক্য থাকার পরেও পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া অনেক ভালো আর তাই পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হবে না বলেও মত সানাইয়ের। বাগদান হয়ে গেলেও এখনই বিয়ে করছেন না তারা।
এজন্য আরো দুই তিন বছর সময় নিতে চান সানাই।তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারের কথা ভেবে বিয়েটা দুই তিন বছর পর করতে চাই। আমার এটাই ইচ্ছা। উনারও (বরের) এতে আপত্তি নেই। সানাই বলেন, ‘বরের নাম পরিচয় এখন জানাতে চাই না। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ের সব আয়োজন হবে।
তখনই জানাব। ওর এটি দ্বিতীয় বিয়ে। আমাদের বয়সেও গ্যাপ আছে। তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর দশটা নারীর মতো আমি চেষ্টা করবো সুখের জীবন গড়ে তুলতে। যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত ও অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও প্রকাশের দায়ে সম্প্রতি সানাইকে আটক করেছিল পুলিশ।
পরে এ ধরণের ভিডিও আর প্রকাশ করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। এছাড়া বিভিন্ন ভিডিও ও মন্তব্য করে বরাবরই আলোচনায় থাকার চেষ্টা করেন সানাই মাহাবুব। এদিকে ডিভোর্সের তিন মাসের মধ্যেই নতুন প্রেমে সিদ্দিকুরের সাবেক স্ত্রী!অভিনেতা সিদ্দিকুরের সাথে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিমের বিয়ে হয়েছিল প্রেম করে।
তাদের সম্পর্কের শক্তি এতটাই দৃঢ় ছিল যে,স্পেনের বিলাসী জীবন ছেড়ে সিদ্দিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে বাংলাদেশে চলে এসেছিলেন মিম। ২০১২ সালের ২৪ মে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৩ সালের ২৫ জুন তাদের ঘর আলো করে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তারা।তবে সে সুখের সংসারে ধরল ফাটল।
গত বছরের অক্টোবরে সিদ্দিকুর-মারিয়ার সাংসারিক টানাপোড়েনের খবর আসে। একজন অন্যজনের নামে তোলেন অভিযোগ। ১৯ অক্টোবর রাতে মিম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন,সেখানে টিপ সই দেয়া আঙ্গুলের ছবি পোস্ট করেন তিনি।
ক্যাপশনে লিখেন, ‘তালাক দিয়ে দিলাম, আজ থেকে আমি তোমার বউ না, তুমি আমার স্বামী না। মিমের সেই ডিভোর্স পেপার সিদ্দিকের হাতে পৌঁছায় ২৩ অক্টোবর।ডিভোর্সের পর থেকেই আলাদা আছেন আছেন তারা। তবে জীবনটা তো আর এভাবে শেষ করে দেয়া যায় না।
তাই নতুন কারও হাত ধরেছেন মিম- এমন খবরই বাতাসে ভাসছে। কানাঘুষা চলছে, সিদ্দিকের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে নতুন কাউকে মন দিয়েছেন মিম।মিম জানায়, তিনি বর্তমানে মিডিয়াতে কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। মডেলিং ও বিভিন্ন পণ্যের ফটোশুটও করছেন সমানতালে।
বড় পর্দার জন্যও নাকি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। এ ব্যাপারে মিম বলেন,সংসার ও সন্তান নিয়েই এতটা দিন ব্যস্ত ছিলাম। তাই মিডিয়াতে সময় দিতে পারিনি। এখন শুধু কাজেই মনোযোগী হতে চাই।’ নতুন কোনও সম্পর্ক কিংবা নতুন কাউকে মন দেয়া নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপাতত এসব নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। চলচ্চিত্রে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চাই আমি।’