Breaking News

সমবয়সী মেয়েকে বিয়ে করলে যা হয়!

বিয়ের ধারণা আগের চেয়ে পাল্টেছে। এখন বিয়ে মানে শুধুমাত্র সন্তান জন্ম দেয়াই না বরং বিয়ে বলতে একে অপরের সাথে সুখ-দুঃখ, সফলতা-বিফলতাসহ সমস্ত কিছুই ভাগ করে নেয়া।

আর এর ফলে বর্তমানে সমবয়সী অর্থাত্‍ দুই বন্ধুর মধ্যে বিয়ের চল বেড়ে চলেছে। এক সঙ্গে পড়াশুনা বা চাকরি করতে গিয়ে কাছাকাছি আসা, মনের মিল খুঁজে পাওয়া এবং শেষে ঘর বাঁধা।

সমবয়সী স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর মতো সবকিছু শেয়ার করা যায়। নিজের ভালোলাগার বিষয়গুলো তার সঙ্গে মিলে যায় সহজেই। আবার কখনো বা পড়তে হয় দারুণ বিপাকে। সমবয়সী বিয়ের ক্ষেত্রে কিছু কমন সমস্যা আমরা প্রায়ই দেখতে পাই, যা বিষিয়ে তুলতে পারে দাম্পত্য জীবন।

অনেক সময় দেখা যায়, সমবয়সী পুরুষটি তার স্ত্রীর কাছে মানসিক দিক থেকে ভ্রাতৃতুল্য হয়। কিন্তু পুরুষটির আচরণে এসে পড়ে কর্তৃত্ব। যেহেতু নারীটি ওই পুরুষ থেকে পরিণতমনস্ক, সেই কারণে তার থাকে দিদিগিরি। আর এ কারণে দ্রুতই শুরু হয়ে যেতে পারে সংঘাত।

আবার এমনো দেখা যায়, যুক্তি-বুদ্ধি নিয়ে গড়ে ওঠা মেয়েটির নিজস্ব চিন্তা ভাবনাকে সম্মান দেখানোর মানসিকতা থাকে না পুরুষটির। আর এর ফলে দাম্পত্য জীবনে মতভেদ, জটিলতার মতো বিষয় দেখা দেয়। তাছাড়া আবেগে ভাটা পড়লে সম্পর্কের পরণতি হয় ডিভোর্সে।

আবার যখন একই সাথে সংসার করার পর দুজনের বয়স ৪০ বা ৪৫ বছরের এসে দাড়ায়। তখন মেয়েদের মধ্যে একটা টার্নিং পয়েন্ট কাজ করে কারণ সেই সময় তাদের কোন সন্তান ধারণের প্রশ্ন ওঠেনা।

তখন তারা মোটামুটিভাবে মুক্ত অনেকটা সংসার অতিবাহিত করার পরে তারা একটু রিলিফ পায় এই সময়। আর তখনই স্বামীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কোন কাজ করে তারা এর ফলে শুরু হয়ে যায় সংসারে সংঘাত।

অনেকের মতেই সমবয়সীতে বিয়ে হওয়া মানে দাম্পত্য জীবনে সমস্যার বৃদ্ধি করা। তাই সাধারণত যদি মেয়েটির থেকে ছেলেটি কমপক্ষে ৫ বছরের বড় হয় এবং খুব বেশি হলে ১০ বছরের বড় তাহলে এটি বিবাহের সম্পর্কে পক্ষে যথাযথ।

About Utsho

Check Also

হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হওয়ার কারণ কী?

ঘুরতে নিশ্চয় ভালোবাসেন! আর দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া মানেই হচ্ছে কোনো না কোনো হোটেলে রাত্রি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *