পু’লিশের ইন্সপেক্টর লিয়াকত, তাকে পু’লিশের মধ্যে ডা’কা হতো শুটার লিয়াকত। ক্রসফায়ার এবং বিচার বহির্ভূত হ’ত্যাকা’ণ্ডের জন্য পু’লিশের মধ্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আ’লোচিত হয়ে উঠে লিয়াকত।
সোয়াতের সদস্য ছিলেন লিয়াকত আলী। থাইল্যান্ড থেকে তিনি শুটিং-এর উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসেন। প্রদীপের খুব প্রিয় পাত্র ছিলেন লিয়াকত আলী এই কারণে যে, লিয়াকতের গু’লি কখনো মিস হতো না।
যে কোন রেঞ্জ থেকে গু’লি করে হ’ত্যা করা যেন তার এক ধরণের নে’শা ছিল। এই কারণেই এই ধরণের অ’পারেশনগুলোতে প্রদীপ লিয়াকত আলীকে দায়িত্ব দিতেন।সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদের হ’ত্যাকা’ন্ডে প্রধান আ’সামি লিয়াকত আলী।
তার গু’লিতেই সিনহা মৃ’ত্যুবরণ করেছিলেন। এটি প্রাথমিক ত’দন্তে জানা গেছে। লিয়াকত আলী সিনহাকে চারটি গু’লি করেছিলেন। ক্রসফায়ার এবং গু’লি করে হ’ত্যা করার জন্য লিয়াকত আলীর পরিচিতি ছিল টেকনাফে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শুটার লিয়াকত আলীর বাড়ি পটিয়ায়। তার পিতার নাম সাহেব মিয়া। তিনি মা’রা গেছেন। তার গ্রাম পূর্ব হুলাইন। পটিয়ার এই অঞ্চলটি জামাত শি’বির অধ্যুষিত ছিল দীর্ঘদিন। ছাত্রাবস্থায় লিয়াকত আলী শি’বিরের ক্যাডার ছিল। এরপর এসআই পদে পরীক্ষা দিয়ে পু’লিশের চাকরি গ্রহণ করে।’
প্রশ্ন উঠেছে যে, লিয়াকতের মতো একজন শি’বির ক্যাডার কিভাবে এসআই পদে নিয়োগ পেলো? জানা গেছে যে, শুধু লিয়াকত আলী নয় বিভিন্ন সময় পু’লিশের মধ্যে এই ধরণের এসআই পদে প্রচুর জামাত শি’বিরের ক্যাডাররা পরিক’ল্পিতভাবে যোগদান করেছিলো। এরাই এখন বিভিন্ন রকম অ’পকর্ম করছে।
লিয়াকত আলীর স’ম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, লিয়াকত পটিয়া কলেজে পড়ার সময় ছাত্র শি’বিরের রাজনীতির সঙ্গে জ’ড়িত ছিল। ছাত্র শি’বিরের একজন সক্রিয় ক্যাডার ছিল। তখন থেকেই আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গে তার দেখভাল।
প্রশ্ন উঠেছে, একটা এসআই পদে নিয়োগের আগে বিভিন্ন গোয়েন্দা রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। কিন্তু এই ধরণের গোয়েন্দা রিপোর্ট এড়িয়ে কিভাবে লিয়াকত চাকরি পেলো? নাকি লিয়াকত অন্যকোন কিছুর বিনিময়ে এই ধরণের রিপোর্ট’কে তার পক্ষে নিয়েছিলো, তা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে।