Breaking News

শিগগিরই সুখবর পাবে শিক্ষার্থীরা : শিক্ষামন্ত্রী

করো’নাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঘরে বসেই অনলাইনে লেখাপড়া চালাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তবে এতে শিক্ষার্থীদের পেছনে শিক্ষা ব্যয় বাড়ছে অ’ভিভাবকদের। আবার সাম’র্থ্য না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে শিক্ষা কর্মসূচিতে যু’ক্ত হতে পারছে না।

বিষয়টির সমাধানে শিক্ষার্থীদের বিশেষায়িত ইন্টারনেট প্যাকেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট বিনামূল্যে অথবা স্বল্প মূল্যে করার চেষ্টা চলছে। খুব শীঘ্রই সুখবর পাবে শিক্ষার্থীরা।’ ২৭ জুলাই সোমবার বিকেলে চাঁদপুরে করো’না পরীক্ষাগার উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।

শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেটে লেখাপড়া চালাতে খরচ বেড়ে যাচ্ছে-এ স’ম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আম’রা শিক্ষার্থীদের জন্য যেন স্বল্পমূল্যে আমাদের স্পেসিফিক কতগুলো ডোমেইনের মাধ্যমে যেই ক্লাসগুলো করাচ্ছি এবং করাবো সেক্ষেত্রে বিনামূল্যে করতে পারলে তো খুবই ভালো।

তা না হলে সেগুলো তারা যেন স্বল্পমূল্যে অ্যাকসেস করতে পারে সেটির জন্য আম’রা বিভিন্ন টেলিফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে নেগোশিয়েট করছি। আমি আশা করছি, খুব শীঘ্রই একটা সুখবর পাবো।

শিক্ষাবর্ষ স’ম্পর্কে তিনি বলেন, কোনও অ’সুবিধা নেই। আমাদেরতো ক্লাস চলছেই। আম’রা মনে করছি, যথাযথ সময়ের মধ্যেই আম’রা আমাদের সিলেবাস শেষ করতে পারবো। অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ারও নানারকম ব্যবস্থা করছি। আমা’র মনে হয় না, আমাদের শিক্ষার্থীদের খুব বেশি পিছিয়ে পড়া বা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

তিনি বলেন, তবে আম’রা এখনও শতকরা একশভাগ সবার কাছে পৌঁছাতে পারছি না- এটি সত্য। যে ৮-১০ ভাগের কাছে আম’রা পৌঁছাতে পারিনি তাদের কাছে কী’ভাবে পৌঁছানো যায়- সে চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছি। পাশাপাশি যদি একান্তই না পারি সেক্ষেত্রে যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাবে তখন তাদেরকে সে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

চাঁদপুরে করো’না পরীক্ষাগার স’ম্পর্কে তিনি বলেন, এটি মানুষের দাবি ছিল। আম’রা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। এম ওয়াদুদ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এটি করা হয়েছে, এতে আমাদের সঙ্গে চাঁদপুর মেডিক্যাল কলেজ আছে। আমাদেরকে ৮টি পিসিআর মেশিনসহ নানারকমভাবে কারিগরি সহায়তা দিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরেনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়। এ কাজে সকলের সহযোগিতার জন্য আম’রা কৃতজ্ঞ।

বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। কারণ, সদর হাসপাতা’লে অক্সিজেন প্ল্যান্টটি করার কথা জানালে তখনই তিনি বলেছেন আর্থিক সহযোগিতা দেবেন। সে উৎসাহতেই আমি এই পিসিআর ল্যাব করার বিষয়টি চিন্তা করতে পেরেছি।

About Utsho

Check Also

পিইসি পরীক্ষা আয়োজনে নতুন সিদ্ধান্ত

মহামারী ক;রোনা ভা;ইরাসের কারণে শিক্ষাব্যবস্থায় যে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে, তা কবে কাটবে, কবে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *