আমরা একবাক্যে বলতে পারি বিদ্যাকে শাড়িতে দুর্ধর্ষ সুন্দর মানায় এবং তিনি শাড়িটা সত্যিই দারুণ সুন্দর সামলাতে পারেন । আরও সুন্দর সুন্দর হ্যান্ডলুম শাড়ি পরতে থাকুন বিদ্যা । এছাড়াও আর একটা বিষয়ের জন্য বিদ্যা বালনের জন্য আমাদের মনে আলাদাই জায়গা রয়েছে- তা হল, বলিউডে বিদ্যা বালান ছাড়া শাড়িতে আর কেউ এত সুন্দর নজর কাড়তে পারে না।
আর, যেকোনও শাড়ি নয়, বিদ্যা বালনের প্রতিটা শাড়িতেই যেন তাঁরই ব্যক্তিত্বের আত্মপ্রকাশ ঘটে । তিনি পুরোপুরি ভারতীয় হ্যান্ডলুম শাড়ি পরতে পছন্দ করেন এবং তিনি যা কিছুই পরেন সবই যেন আমাদের মুগ্ধ করে । বর্তমানে বিভিন্ন প্রিন্টেড,
আধুনিক এবং অন্যরকম ডিজাইনের শাড়ির মাঝে বিদ্যা বালন আমাদের ভারতীয় পদ্ধতি অবলম্বনে তৈরি বিভিন্ন ক্লাসিক শাড়ির মহিমা প্রদর্শন করেন, যা কোনওদিন পুরনো হবে না । এই বছর আইআইএফএ-তে তুমহারি সুলু সিনেমা ‘বেস্ট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড’
জেতায় বিদ্যা বালন নিঃসন্দেহে রোমাঞ্চিত বোধ করেছেন । সাতটা মনোনয়ন প্রাপ্ত এই সিনেমা নিয়ে আমাদের অত্যন্ত উচ্চাশা জন্ম নিয়েছিল, যার অন্যতম প্রধান কারণ এই সিনেমার জন্য ‘সেরা অভিনেত্রী’ বিভাগে মনোনীত হয়েছিলেন স্বয়ং অভিনেত্রী ।
আবেগ, হিউমার এবং ড্রামার যথাযথ মিশ্রণ তুমহারি সুলু সেরা সিনেমার শিরোপা পাওয়ার অত্যন্ত যোগ্য । দা ডার্টি পিকচার, কাহানির পর বিদ্যা বালানের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে আমাদের মনে আর কোনওরকম প্রশ্নই নেই ।
সম্প্রতি একটা অনুষ্ঠানে বিদ্যা একটা সুন্দর লাল আর ম্যাঙ্গো শাড়ি পরেছিলেন যার একপাশে সবুজ এবং গোলাপি পাড় ছিল । আমাদের সবচেয়ে বেশী ভাল লেগেছিল কীভাবে তিনি একেবারে অল্প সেজে শাড়িকেই তাঁর হয়ে সমস্ত কথা বলতে দিয়েছিলেন দেখে।
বিদ্যাকে প্রায়ই ম্যাঙ্গো ব্র্যান্ডের শাড়ি পরতে দেখা যায় । আর কে বলেছে শাড়ি ঠিক মতো সামলানো যায় না… শ্লোকা মেহতা এবং আকাশ অম্বানির এনগেজমেন্টে বিদ্যা একটা সাধারণ সাদা রঙের অনিতা ডোংরি শাড়ি পরেছিলেন যার পাড়ে রূপালী গোটা পাত্তির কাজ করা ছিল ।
এর সঙ্গে তিনি রাবতা বাই রাহুলের স্টেটমেন্ট কানের দুল বেছে নিয়েছিলেন। তবে সোনম কাপুর এবং আনন্দ আহুজার রিসেপশনে আমাদের তাকে দেখতে সবচেয়ে সুন্দর লাগছিল । শাহ গৌরাঙ্গের একটা ক্লাসিক সাদা এবং সোনালী হাতে বোনা মাহেশ্বরী শাড়ি পরে তাকে অসামান্য সুন্দর দেখাচ্ছিল