রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় চাকরি দেওয়ার কথা বলে শেল্টার সিকিউরিটি সার্ভিসেস বিডি লিমিটেড নামের একটি অফিসে ডেকে নিয়ে এক তরুণীকে ধ’র্ষণের অ’ভিযোগ পাওয়া গেছে।






এই ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে বাড্ডা থা’নায় তিনজনের নামে একটি মা’মলা করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী। দুই আ’সামি প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহিদ হাসানকে (৪৫) গতকাল শনিবার ও অ’পারেশন ম্যানেজার শহীদুল হককে (৪৫) শুক্রবারই গ্রে’প্তার করেছে পু’লিশ।






গতকাল পু’লিশ শহীদুলকে আ’দালতে পাঠিয়ে তিন দিনের রি’মান্ডে নিয়েছে। আর জাহিদকে আজ রবিবার আ’দালতে পাঠিয়ে রি’মান্ড চাওয়া হবে। পু’লিশ জানায়, পটুয়াখালী জে’লার বাসিন্দা ওই তরুণী উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর চাকরির খোঁজে ঢাকার বাড্ডায় এসে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওঠেন।






চাকরি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরই মধ্যে বাড্ডার ময়নারবাগ এলাকার জসিম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। জসিম তাঁকে চাকরি দেওয়ার আশ্বা’স দেন। গত ১৭ জুলাই তাঁকে নিয়ে বাড্ডার প্রগতি সরণির গ-৯৭/১ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলায় শেল্টার সিকিউরিটি সার্ভিসেস বিডি লিমিটেডের অফিসে যান জসিম।






দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে একটি কক্ষে ঢোকার পর শহীদুল হক বাইরে থেকে তালা মে’রে দেন। আর জসিম তরুণীকে ধ’র্ষণ করেন। এতে সহায়তা করেন জাহিদ হাসান। পরে তরুণী লজ্জায় কাউকে কিছু না বলে আত্মীয়ের বাসায় চলে যান।






এরই মধ্যে তিনি একটি অনলাইন শপিংয়ে চাকরি পান। সেখানে সহকর্মীদের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। পরে গত শুক্রবার রাতে তাঁকে নিয়ে বাড্ডা থা’নায় যান সহকর্মীরা। গতকাল তরুণীকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতা’লের ওসিসিতে পাঠানো হয়।






মা’মলা’টির ত’দন্তকারী বাড্ডা থা’নার উপপরিদর্শক মাসুদুর রহমান গতকাল বলেন, ‘এই ঘটনায় প্রধান আ’সামি জসিম পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রে’প্তারের চেষ্টা চলছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানে আগেও এমন ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সব বিষয়েই আম’রা ত’দন্ত করে দেখছি।’