Breaking News

রং পাল্টাচ্ছে খুলনার রেড জোন

খুলনায় দু’সপ্তাহ আগে রেডজোন ঘোষণা করা সিটি করপোরেশনের দু’টি ওয়ার্ড ও রূপসা উপজেলার আইচগাতী অচিরেই রং বদলাচ্ছে। এ তিনটি এলাকা গত ২৫ জুন থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ওই সময় থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রেডজোনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

খুলনার সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৫১ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৩ জন। শুধু মহানগরীতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ১৯৮ জন। গত ২৫ জুন পর্যন্ত নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডে ১৩৩ জন, ২৪ নং ওয়ার্ডে ৬৫ জন ও রূপসার আইচগাতীতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৬ জন।

জনসংখ্যার অনুপাতে আক্রান্ত সংখ্যার নিরিখে ওইসব এলাকা রেড জোন ঘোষণা করে সরকার। একই সাথে ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়। লকডাউন এলাকার মানুষের মধ্যে প্রথম থেকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও পরে তা কমে আসতে শুরু করে। প্রথম দিকে স্থানীয় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থায় থাকলেও তা ধীরে ধীরে কমে আসতে শুরু করেছে। তবে এসব এলাকায় যানবাহন ও বহিরাগতদের প্রবেশ এখনও নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। এ অবস্থায় নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডে গত ১৫ দিনে নতুন আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৮ জন, ২৪ নং ওয়ার্ডে ১ জন ও আইচগাতীতে নতুন আক্রান্ত নেই। ফলে রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত স্থানগুলো অচিরেই ইয়োলো জোনে রূপান্তরিত হচ্ছে। তাছাড়া পূর্বের আক্রান্তদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমরাতো ২১ দিনের ১৫ দিন কাটিয়ে দিলাম। লকডাউন নিয়ে যেসব ভয় পেয়েছিলাম তা অবশ্য হয়নি। আমাদের কষ্টে যদি সুফল আসে তাও ভালো। কিন্তু লকডাউন করলে শুধু পথ বন্ধ করলে হবে না। সাধারণ মানুষের সমস্যা ও সংকট লাঘবেও সরকারের উদ্যোগ নিতে হবে।’

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বশির হোসেন বলেন, ‘লকডাউনে সুফল এলে সবার জন্যই ভালো। কিন্তু আমরা যে লকডাউন দেখলাম, সেটি হলে ভাল হবে না। স্বেচ্ছাসেবকরা অনেক সময় নিজেরাই নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। আবার মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। এগুলো ভবিষ্যতে জন্য ভাবা উচিত।’

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, ‘খুলনার লকডাউন হওয়া রেডজোনগুলোর অবস্থা অনেক ভালো। নতুন সংক্রমণের হার কমে গেছে। ফলে এগুলো ইয়োলো জোনে রূপ নেবে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভা থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’

About Utsho

Check Also

হোটেলের বিছানার চাদর-বালিশ সাদা হওয়ার কারণ কী?

ঘুরতে নিশ্চয় ভালোবাসেন! আর দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া মানেই হচ্ছে কোনো না কোনো হোটেলে রাত্রি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *