বর্তমানে আমাদের দেশে সিজারের মাধ্য’মে শি’শু জন্ম’দা’নের হার ক্রম’শ বেড়েই চলছে।এক’টি প’রিসংখ্যা’নে দেখা গেছে ২০১৬ সালে সিজা’রের পরি’মাণ ছি’লো ৩১ শতাংশ অথচ মাত্র ৬ বছর আগে ২০১০ এ সিজা’রের পরিমাণ ছিলো ১৩ শতাংশ।
এদের মধ্যে প্রা’ইভে’ট ক্লি’নিকগু’লোতে সন্তান প্রস’বের ৮৩ শতাং’শই হয় সি’জারি’ন পদ্ধতিতে।উন্নত বিশ্বে প্র’সূ’তির কথা চিন্তা করে সিজা’রে অনুৎসা’হিত করা হলেও আ’মাদের দেশে এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগ এখনও চোখে পড়ছে না।
প্রসূতির পরিবারের অ’ভিযোগ চিকিৎসকরা বানিজ্যিক স্বার্থে সিজারে বাধ্য করেন। তবে এক্ষেত্রে কিছু দায় রয়েছে পরিবারেরও।গর্ভাবস্থায় কিছু নিয়ম মেনে চললেই স্বাভাবিক সন্তান প্রসব সম্ভব। পাঠকদের জন্য সেই নিয়মগুলো তুলে ধ’রা হলো-
১. মায়ের মধ্যে এই আত্মবিশ্বা’সবোধ থাকতে হবে যে, তিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব করবেন।২. lugel exercise নামে এক ধরণের ব্যায়াম আছে। যাতে পেলভিক এলাকার মাংসপেশী সংকোচন ও প্রসারণ করার মাধ্যমে কটি দেশের প্রসারণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়।
৩. গভীরভাবে শ্বা’স নিয়ে প্রশ্বা’স ছাড়লে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। অন্ত:স্বত্ত্বার ক্ষেত্রে শ্বা’সক’ষ্ট বড় একটি সমস্যা। তাই এ পদ্ধতি অবলম্বন করে নিস্কৃতি পেতে পারেন।
৪. ডাক্তারের পরাম’র্শ অনুযায়ী নিয়মিত হাঁটলে সাঁতার কাটলে ও হালকা কিছু ব্যায়াম করলে অন্ত:স্বত্ত্বা শারীরিকভাবে শক্ত-সাম’র্থ্যবান থাকেন। যা স্বাভাবিক সন্তান প্রসবে সহায়ক হয়।
৫. নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে কোনো রোগ থাকলে যেমন হাইপার টেনশন ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে মা নরমাল ডেলিভা’রির চেষ্টা করতে পারেন।
৬. ডাক্তারের দেওয়া খাদ্য তালিকা অনুস্ম’রণ করলে সন্তান খুব বড়ও হয় না আবার ছোটও হয় না। ফলে স্বাভাবিক প্রসবের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করলে করলে পরবর্তী জীবনে মাকে নানা ধরনের স্বাস্থ্য জটিলতার শিকার হতে হয়। তাই আমাদের সকলেরই লক্ষ্য হওয়া উচিত সিজারকে না বলা।