যৌ’নতার জন্য শুধু যে ছে’লেরাই অর্থকড়ি খরচ করে এমন ধারণা এখন অ’তীত। এক্ষেত্রে পশ্চিমা বিশ্বের মে’য়েরাও পিছিয়ে নেই। সেখানে পুরুষ যৌ’নকর্মী ভাড়া করে জীবন উপভোগ করছেন তারা। উইমেন হু পে ফর সেক্স’ শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এই তথ্য।






সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের ওই ফিচারধ’র্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যু’ক্তরাজ্যে এমন অনেক নারী আছেন, যারা বার কিংবা নাইট’ক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না। যৌ’নতা উপভোগের জন্য তারা ‘এসকর্ট এজেন্সির’ (যৌ’নকর্মী ও খদ্দেরদের মধ্যস্থকারী প্রতিষ্ঠান) সাহায্য নেন।






এসব এজেন্সির কাছে ‘এসকর্ট’ চাইলেই তারা নারী গ্রাহকদের কাছে তাদের পাঠিয়ে দেয়। ইংল্যান্ডের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের একটি বিলাসবহুল এসকর্ট এজেন্সির মালিক নিকোল। এখানে ছে’লেদের মতো মে’য়েরাও তার ভোক্তা। তাদের জন্য তিনি বিলাসবহুল এবং বড় আকারের বাংলো বাড়ির ব্যবস্থা করেন।






যেটি শহর থেকে প্রায় মাইল খানেক দূরে। ফরাসী বাংলোর মতো দেখতে এসব বাড়ির ভেতরে কী’’ চলছে সেটা বাইরে থেকে কোনভাবেই বোঝার উপায় নেই। নিকোল বলেন, ‘নারী ক্লায়েন্টরা নিজেদের পরিচয় গো’পন রাখতে চান। এটা তাদের নিজস্ব পৃথিবী, এই গো’পনীয়তা তাদের জীবনেরই অংশ।’






ছে’লে যৌ’নকর্মীরা জানেন, তাদের সব নারীভোক্তা অবিবাহিত বা একাকী’’ নন। এমনই একজন বলেন, কিছু নারী মনে করেন যৌ’নতার জন্য অর্থ ব্যয় কোনো প্রতারণা নয়। এটি প্রে’ম বা এরকম অন্যান্য স’ম্পর্কের মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।






যেসব নারীর ছে’লেবন্ধু বা স্বামী আছে তাদের জন্য বারে কিংবা অন্য কোনো প্রকাশ্য জায়গায় অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গ খুবই ঝুঁ’কিপূর্ণ। নিকোল জানান, ‘তাদের জন্য এমন জায়গা দরকার, যেখানে প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ তাদের দেখে ফেলবে না।’






জন্মগত প্রতিবন্ধকতার কারণে ক্যাটরিনার কাছে যৌ’নতা সবসময়ই একটি বিষাদময় ব্যাপার। এই নারী জানান, তিনি কখনো ভাবেননি যে তিনি একজন পুরুষ যৌ’নকর্মী খুঁজবেন। কিন্তু এখন ক্যাটরিনা ইংল্যান্ডের অন্য অনেক নারীর মতোই একজন যারা অর্থের বিনিময়ে যৌ’নতা কেনেন।
ক্যাটরিনা জানান, তার সাবেক প্রে’মিকেরা যৌ’নতা উপভোগ করতে না পারার জন্য যখন তার শারিরীক প্রতিবন্ধকতাকে দায়ী করে একে একে তাকে ছেড়ে যান তখন তার আত্মবিশ্বা’স চুরমা’র হয়ে যায়।
ক্যাটরিনা বলেন, ‘যৌ’নকর্মী অ্যান্ড্রুর কারণে আমা’র এই ভুল ভাঙে। প্রথম বারের পরই আমি দেখলাম যৌ’নতায় আমি সম্পূর্ণ সক্ষম। আনন্দময় যৌ’ন অ’ভিজ্ঞতা হলো আমা’র। সেই সঙ্গে আমা’র আত্মবিশ্বা’সও ফিরে আসল।’ শুধু যে ক্যাটরিনার মতো শারিরীক প্রতিব’ন্ধী নারীরা এই ‘সেবা’ নিচ্ছেন তা নয়। অন্যান্য স্বাভাবিক নারীও এই যৌ’নসেবা নিয়ে থাকেন।
ক্যাটরিনাকে যে যৌ’নসেবা দিয়েছেন, সেই অ্যান্ড্রু রসেট্টা, তার দশ বছরের যৌ’নসেবী ক্যারিয়ারের অ’ভিজ্ঞতা নিয়ে ‘হোয়াটেভা’র শি ওয়ান্টস’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন।
পুরুষ যৌ’নকর্মীরা জানান, নারীরা নানা কারনেই যৌ’নতার জন্য অর্থ ব্যয় করতে চান। যৌ’নতায় আত্মবিশ্বা’স ফিরে পাওয়া, নতুন পরীক্ষ-নিরীক্ষা করা ইত্যাদি। এছাড়াও ব্যাবসায়ী নারীরা সময়ের অভাবে তাদের স্বামী বা ছে’লেবন্ধুর সঙ্গে মিলিত হতে পারেন না। ফলে তারাও এ সেবাটি গ্রহন করেন।
ডেনিয়েল অর্থনৈতিক মন্দার সময়টিতে কিছু বাড়তি টাকার জন্য খণ্ডকালীন পুরুষ-যৌ’নকর্মী হিসেবে কাজ করেন। তিনি লন্ডনের নামকরা একটি বেসরকারী স্কুলের ছাত্র। আবার অ্যান্ড্রুর মতো কর্মীরা উচ্চ রুচিবোধসম্পন্ন।
কিন্তু এরকম যৌ’নকর্মী পেতে মে’য়েদের কী’’ রকম খরচ করতে হয়? গড়পরতায় ঘন্টায় সর্বনিম্ন ১০০ পাউন্ড। নিকোল জানান, ইংল্যান্ডে বেকারত্ব সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ঘন্টাপ্রতি ৬০ পাউন্ডে পুরুষ যৌ’নকর্মী ভাড়া পাওয়া যায়।