জনপ্রিয় তারকা দম্পতি ওম’র সানী-মৌসুমী। জুটি বেঁধে অ’ভিনয় করেছেন বহু ব্যবসা’সফল চলচ্চিত্রে। তারপর প্রে’ম-বিয়ে, সংসার ও সন্তান।
আজ তাঁদের ২৫তম বিবাহবার্ষিকী’। ১৯৯৫ সালের ২ আগস্ট ভালোবেসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ওম’র সানী ও মৌসুমী। আজ তাঁদের বিবাহবার্ষিকী’র রজতজয়ন্তী। দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের ভাবনা ছিল এ দম্পতির।
বধূবেশে হাজির হবেন মৌসুমী, শেরওয়ানি পরে বর সাজবেন ওম’র সানী। এফডিসিতে সেট নির্মাণ হবে। সেখানে বিবাহের রজতজয়ন্তী পালন হবে। এমনই পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তবে করো’নার কারণে এ বছর তাঁদের কোনো আয়োজন নেই।
আক্ষেপ করে ফেসবুক হ্যান্ডেলে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ওম’র সানী। ভক্তদের কাছে দোয়াও চেয়েছেন এ চিত্রনায়ক। সানী বলেন, ‘চারদিকে কাছের মানুষগুলো চলে যাচ্ছে। করো’নার পাশাপাশি দেশের মানুষ এখন ব’ন্যার কবলে পড়েছে।
এমন সময় কোনো অনুষ্ঠান করার চিন্তা নেই। সবাই ফোন করে উইশ করছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের জন্য দোয়া করছে, এর চেয়ে বেশি কী’-বা আশা করতে পারি।’ তবে সানী-মৌসুমীর ছে’লে ফারদিন গতরাতেই বন্ধুদের নিয়ে মা-বাবার জন্য কেক কে’টেছেন। মা-বাবার জন্য এটা সারপ্রাইজ ছিল।
সানী বলেন, ‘রাত ১২টার আগে হঠাৎ দেখি ছে’লের ১৫-২০ জন বন্ধু বাসায় এসে উপস্থিত। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম, তাদের এত রাতে কী’ খাওয়াব। পরে দেখি ফারদিন আগে থেকে সব রেডি করে রেখেছিল। মা-বাবার জন্য এটা ছিল তার সারপ্রাইজ।’
মৌসুমীকে নিয়ে সানী বলেন, ‘মৌসুমী একজন পরিপূর্ণ মানুষ। সে যেমন নায়িকা, তেমনি স্ত্রী’-মা হিসেবেও অসাধারণ। বাবার বাড়ি বা শ্বশুরবাড়ির প্রত্যেক সদস্যের খবর রাখে সে। সবার সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়। সমাজসেবক হিসেবেও সে সফল মানুষ। আমা’র সুখে-দুঃখে পথচলার সঙ্গী, এককথায় মৌসুমীই আমা’র জীবনের সব।’
মৌসুমী বলেন, ‘বাবার মৃ’ত্যুর পর থেকেই সানী আমাদের পুরো পরিবারে ভূমিকা রেখে আসছে। সব মানুষকেই আপন করে নেওয়ার একটি অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। সব সময় সব কাজে সে আমাকে সহযোগিতা করে। তার সহযোগিতা আমা’র জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করছে। আসলেই অনেক ভালো একজন মানুষ সানী। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’
ওম’র সানী-মৌসুমীর সুখের সংসার আলোকিত করে দুই সন্তান এসেছে, পুত্র ফারদিন ও কন্যা ফাইজা। ফারদিন রাজধানীর উত্তরায় ‘মেরিমন্টানা’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করছেন। রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় পুত্রের সাফল্যে বেশ আনন্দিত মৌসুমী-ওম’র সানী। পাশাপাশি ফারদিন নির্মাতা হিসেবেও কাজ করেন।