কক্সবাজার জে’লগেটে জিজ্ঞাসাবাদে মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলার চার আ’সামি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যা’বের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, চার আ’সামিকে আম’রা বিগত দু`দিনে জে’লগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেই তথ্যের আলোকে তাদের সোমবার ১০দিনের রি’মান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আ’দালতের নির্দেশনার আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কর্নেল আশিক বিল্লাহ আরও বলেন, ৭ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর হওয়া বাকি তিন আ’সামিকে পর্যায়ক্রমে আম’রা রি’মান্ডে নিবো। তবে, আজকেই তাদের রি’মান্ডে আনছি না। আরও একটু যাচাই-বাছাই করছি।
সে’নাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান হ’ত্যা মা’মলায় কক্সবাজার জে’লা কারাগারে থাকা চার আ’সামিকে আ’দালতের নির্দেশনা মতে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে র্যা’ব-১৫।
দ্বিতীয় দিনের মতো রবিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার জে’লা কারাগারের ফট’কে চার আ’সামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন র্যা’বের ত’দন্ত দল।
মেজর সিনহা হ’ত্যা মা’মলার আ’সামি ওসি প্রদীপসহ ৭ জন বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে আত্মসম’র্পণ করলে কক্সবাজার র্যা’বের পক্ষ থেকে ১০ দিনের রি’মান্ড আবেদন করা হয়।
শুনানি শেষে ওসি প্রদীপসহ তিনজনকে সাত দিন করে রি’মান্ড মঞ্জুর করেছেন আ’দালত। এছাড়া বাকি চার আ’সামিকে দুদিন করে জে’লগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সাত দিন করে রি’মান্ড মঞ্জুর করা তিন আ’সামি টেকনাফের বাহারছড়া পু’লিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) প্রদীপ কুমা’র দাশ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে র্যা’ব-১৫-এর হেফাজতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু আজও তাদের রি’মান্ডে নিয়ে যায়নি র্যা’ব।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ঈদুল আযহার আগের রাতে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লা’শির সময় পু’লিশের গু’লিতে নি’হত হন সে’নাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান।
গত ৫ আগস্ট নি’হত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ’দালতে পরিদর্শক লিয়াকত আলী, ওসি প্রদীপ কুমা’র দাশসহ নয়জনের বি’রুদ্ধে হ’ত্যা মা’মলা করেন।
৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আ’সামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আ’দালতে আত্মসম’র্পণ করেন। মা’মলার শুনানিতে র্যা’বের পক্ষে প্রত্যেক আ’সামির ১০ দিন করে রি’মান্ডের আবেদন করলে আ’দালত লিয়াকত, প্রদীপ ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাত দিন করে রি’মান্ড মঞ্জুর করেন।
বাকি চারজনকে দুই দিন কারাফট’কে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অন্য দুই আ’সামির বি’রুদ্ধে গ্রে’ফতারি পরোয়ানা জারি করেন আ’দালত। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে র্যা’বকে মা’মলা’টির ত’দন্তভা’র দেয়া হয়। ৭ কর্ম’দিবসের মধ্যে তারা আ’দালতে প্রতিবেদন জমা দিবে।
ঘটনা ত’দন্তে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অ’তিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের ত’দন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। ৪ আগস্ট থেকে ত’দন্ত শুরু হয়েছে। ৭ কর্ম’দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।