Breaking News

মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে পরস্পরের ওপর দোষ চাপালেন ডা. সাবরীনা ও তার স্বামী আরিফ

জেকেজি হেলথ কেয়ারের করো’না টেস্ট জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। শুধু নমুনা সংগ্রহের অনুমতি থাকলেও অর্থের বিনিময়ে তারা ভু’য়া রিপোর্টও দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে এই অপকর্মের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান দুই ব্যক্তি ডা. সাবরিনা এবং তার স্বামী আরিফুল। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবরিনা চৌধুরীকে দ্বিতীয় দফায় রিমা’ন্ডে নিতে চায় ডিবি। এদিকে, সাবরীনার দুর্নীতি অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুদক।

করো’না পরীক্ষায় নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপনের জন্য এপ্রিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে চুক্তি করে জেকেজি হেলথ কেয়ার। ২৩ জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ভু’য়া টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি হাতিয়ে নেয় প্রায় ৮ কোটি টাকা। জালি’য়াতি প্রকাশ হয়ে পড়লে প্রতিষ্ঠানের দুই শীর্ষকর্তা ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলকে আটক করে পু’লিশ। বুধবার মুখোমুখি করা হয় দুজনকে। সেখানে একে অপরের ওপর দোষ চাপান তারা। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আরিফের ওপর ক্ষেপে যান সাবরীনা। স্বামীকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠেন, তোমার জন্যই আজকে আমার এই অবস্থা। একজন ডাক্তার হয়েও জেলে, রিমান্ডে।

মহানগর গোয়েন্দা পু’লিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, আরিফ ও সাবরিনা করোনাকে কেন্দ্র করে তাদের জেকেজি হেলথ কেয়ারের ভু’য়া রিপোর্টের কথা স্বীকার করলেও কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সেটা বলেননি। সেটা আমরা বের করার চেষ্টা করছি।

জিজ্ঞাসাবাদে সাবরীনা চৌধুরী দাবি করেন, তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান নন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীন কাগজপত্রে তার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সত্যতা পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

জেকেজির চেয়্যারম্যান সাবরীনার দুর্নীতি ও অ’বৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে বৃহস্পতিবার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুদক।

আব্দুল বাতেন বলেন, কী পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে সেটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। সাবরিনার তিন দিনের রি’মান্ড শেষ হচ্ছে। প্রয়োজনে তাকে আবার রি’মান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ৬ জনকে গ্রেফ’তারের পর ৪টি মা’মলা করা হয় তেজগাঁও থা’নায়। আর গত রোববার সাবরিনাকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও কার্যালয়ে অফিসে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে জালি’য়াতিতে সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফ’তার দেখানো হয়। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে। সাবরিনার দাবি তিনি আরিফকে ডিভোর্স দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ের সত্যতা পুরোপুরি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সাবরিনা আরিফের চতুর্থ স্ত্রী।

About Utsho

Check Also

সেই মা’রিয়াকে নিয়ে খেলায় মা’তলেন ডিসি

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজে’লার হেলতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে পরিবারের সব স্বজন হা’রানো সেই মা’রিয়া সুলতানা এখনও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *