চার বছর পূরণ করে ফেলল কে আপন কে পর। অনেক ওঠা পড়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল জবার জার্নি। নিজের জীবনে সবসময় সে সত্যিকেই গ্রহণ করে নিয়েছে। পশ্চিম বাংলার দর্শক পছন্দ করেছে জবাকে। কলকাতার বাংলা টেলিভিশনে অন্যতম আইকনিক চরিত্র হলো জবা।
যে সব মেয়েরা নিজেরা সাবলম্বী হতে চান তাঁদেরও অনুপ্রেরণা জবা। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়েছিল এই সিরিয়াল। ছোট্ট শহর থেকে উঠে আসা জবা তার পড়াশুনো শেষ করে একদিন নিজে আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান।সেনগুপ্ত পরিবারের ছোট ছেলে পরমের সঙ্গে জবার বিয়ে হয়।
জবা
জবা কিন্তু একদিন পরিচারিকা হিসেবেই এই পরিবারে এসেছিল। শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবারের জন্য মন প্রাণ ঢেলে কাজ করে জবা। শুধুমাত্র নিষ্ঠার জোরেই প্রতিবার যাবতীয় বাধা পেরিয়ে যায় সে।
জবার ভূমিকায় অভিনয় করে পল্লবী শর্মা মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকের। পরমের ভূমিকায় অভিনয় করা বিশ্বজিৎ ঘোষ হয়ে উঠেছেন সবার বাড়ির ছেলে।
এই সিরিয়ালের প্রোডিউসার সুশান্ত দাস যেমন বললেন, দর্শকের ভালোবাসা আর সাহায্যেই আজ আমরা এতটা পথ অতিক্রম করলাম। এছাড়াও আমাদের কলাকুশলী থেকে অভিনেতা অভিনেত্রী-সকলেই লা জবাব। আমরা খুব সুন্দর একটা পরিবার হয়ে কাজ করি। সবার মিলিত পরিশ্রমেই কে আপন কে পর আজ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে। ৩৫ বছর পর এসে জবা আবিষ্কার করে তার মা এখনও জীবিত।
মিথ্যে মা’ম’লায় তার মাকে ফাঁ’সানো হয়েছিল। মাকে নিজের কাছে ফিরে পেতেই নতুন করে আইনজীবীর পোশাক গায়ে তোলে জোবা। পুরনো ফাইল নিয়ে নাড়াচাড়া করে। অনেক কষ্ট করে জোগাড় করে ৩৫ বছর আগেকার সব তথ্য। সেই তথ্য হা’তড়াতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। এই লড়াও জিতবে জবা। শুধু পাশে চাই আপনাদের।