অকালে চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যায় অনেকেই ভু’গে থাকেন। তবে আপনার চুল যদি মাথার বিভিন্ন স্থান থেকে উঠে থাকে তবে তো মহা চিন্তার বিষয়! কারণ এর জন্য দায়ী শরীরের এক রকম অটো ইমিউন ডিজিজ যাকে ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’ বলেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে কোনো বয়সে মানুষের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’ তে আ’ক্রান্ত হলে শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশের হেয়ার ফলিকল আ’ক্রান্ত হয় এবং ওই অংশের চুল রাতারাতি ঝরে যায়।
শুধু তাই নয়, ওই অংশে নতুন চুল গজানোও বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, শরীরের বা মাথার কোনো বিশেষ অংশের হেয়ার ফলিকল এভাবে বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে। এতে শ্বেতকণিকার আ’ক্রমণে ওই বিশেষ অংশের হেয়ার ফলিকলের কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে যায়।
‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’তে-এ আ’ক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, দাড়ি, ভ্রু ইত্যাদি অংশের চুল আচমকাই প্রায় গোলাকৃতিতে ঝরে গিয়ে ফাঁকা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানান, যারা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের মতো অটো ইমিউন ডিজিজে আগে থেকেই আ’ক্রান্ত, তাদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়ার আশ’ঙ্কা বেশি।
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ নির্মূল করা সম্ভব। কখনো দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় সারিয়ে তোলা হয় এই রোগে আ’ক্রান্ত ব্যক্তিকে। ওষুধ, ইনজেকশন বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিকে কাজে লাগিয়ে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি কোনো সংক্রামক রোগ নয়। এর অন্য কোনো ক্ষ’তিকারক প্রভাবও শরীরে পড়ে না। মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই রোগ বংশগত হতে পারে। সূত্র: জি নিউজ