ম’দের (হুইস্কি) সঙ্গে মধু মিশিয়ে কয়েক দিন পান করলেই করো’নাভাই’রাস থেকে মুক্তি মিলবে বলে দাবি করেছেন এক ব্রিটিশ যুবক।
২৫ বছর বয়সী কনার রিড নামের ওই যুবক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে জানান, চিকিৎসকরা তাকে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তা না সেবন করে হুইস্কিতে মধু মিশিয়ে কয়েক দিন খেয়েছেন।
আর তাতেই নাকি দিব্যি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত তিন বছর ধরে চীনে বসবাস করছিলেন ওয়েলসের নাগরিক কনার। চীনের বাচ্চাদের ইংরেজি শেখাতেন তিনি। ছয় মাস আগে করো’নার উৎপত্তিস্থল উহানে যান কনার।
আর ডিসেম্বরে করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হন তিনি। এ সময় তার শ্বা’সক’ষ্টের পাশাপাশি প্রচণ্ড কাশি দেখা দেয়। একসময় অবস্থা আশ’ঙ্কাজনক হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন কনার। তবে চিকিৎসকের কোনো পরাম’র্শই গ্রহণ করেননি বলে দাবি কনারের।
তিনি দ্য সানকে বলেন, ‘শ্বা’সক’ষ্টের জন্য ইনহেলার ব্যবহার করেছি আমি। একই সঙ্গে মধু দিয়ে হুইস্কি খেয়েছি। আসলে এটি একটি পুরনো ঘরোয়া পদ্ধতি। এটি খেলে ঠাণ্ডাজনিত অ’সুখ সেরে যায়।
আমি এই সময়ের কোনো অ্যান্টিবায়োটিক নিইনি। এমনকি চিকিৎসকের দেয়া কোনো ওষুধই খাইনি। শুধু ইনহেলার গ্রহণ করেছি ও মধু মিশ্রিত হুইস্কি খেয়েছি। আর এখন আমি প্রা’ণঘাতী করো’নাভাই’রাস মুক্ত।’
ব্রিটিশ নাগরিকের এমন দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- ডব্লিউএইচও। এদিকে করো’নাভাই’রাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি করেছে এক দল থাই চিকিৎসক।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ও এইচআইভির অ্যান্টিভাই’রাল ওষুধের একটি মিশ্রণ সেবন করিয়ে মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় করো’নাভাই’রাস আ’ক্রান্ত এক চীনা নারীকে সুস্থ করে তুলেছেন বলে এএফপিকে দাবি করেছে তারা।
করো’নাভাই’রাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছিল বেইজিংয়ের একটি হাসপাতা’লের ভাইরোলজিস্টরাও। তারাও করো’নাভাই’রাস আ’ক্রান্তদের চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ ব্যবহার করেছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়।
তবে তাদের এ দাবির সপক্ষে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রসঙ্গত চীনে এখন পর্যন্ত করো’নাভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়ে ৩৬১ জন মা’রা গেছে বলে জানিয়ে বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম। আ’ক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারের বেশি চিকিৎসকেরা অনেক চেষ্টা করেও এর কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি করতে পারছেন না।