লন্ডনের স্কুল থেকে পালিয়ে আই’এসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম। দীর্ঘদিন আইনি ল’ড়াই চালিয়ে যাওয়ার যু’ক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি পাচ্ছেন তিনি।






বৃহস্পতিবার লন্ডনের আপিল আ’দালত এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর জানিয়েছে, যু’ক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতির জন্য আপিল করার পর থেকে বোরকা ছেড়ে জিন্স পরা শুরু করেছেন শামীমা।






সিরিয়ার শরণার্থী শি’বির থেকে তোলা শামীমা’র সম্প্রতি একটি ছবিতে এমনটি দেখা গেছে। সেখানে জিন্স, টপস পরে ঘুরছেন তিনি। আপিল আ’দালতের রায়ে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্তের বি’রুদ্ধে আইনি ল’ড়াইয়ের জন্য শামীমাকে দেশে ফিরতে দিতে হবে।






এদিকে শামিমা’র পক্ষে আ’দালতের রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা জানায়, এর বি’রুদ্ধে তারা আপিল করার অনুমতি চাইবে। এছাড়া যু’ক্তরাজ্যে প্রবেশের পর শামীমাকে গ্রে’ফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।






২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলপড়ুয়া তিন তরুণী যু’ক্তরাজ্য থেকে পালিয়ে সিরিয়ায় আই’এসের সঙ্গে যোগ দেন। এদের মধ্যে শামীমা বেগম (২০) এবং খাদিজা সুলতানা (২১) ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত।






তারা পূর্ব লন্ডনের বাংলাদেশি-অধ্যুষিত বেথনাল গ্রিন একাডেমি নামের একটি স্কুলের ছা’ত্রী ছিলেন। সিরিয়ায় গিয়ে আই’এসের এক জ’ঙ্গিকে বিয়ে করেন শামীমা। নেদারল্যান্ডসের নাগরিক সেই জ’ঙ্গির ঘর তিনটি সন্তানের জন্ম দেন শামীমা। যদিও তার তিন সন্তানেরই মৃ’ত্যু হয়েছে।






বর্তমানে উত্তর সিরিয়ায় সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এসডিএফ) পরিচালিত আল রোজ নামের একটি আশ্রয় শি’বিরে আছেন শামীমা। ২০১৯ সালে এই খবর প্রকাশ্যে আসতে নিরাপত্তার স্বার্থে এই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তরুণীর নাগরিকত্ব খারিজ করে দেয় যু’ক্তরাজ্য।