মিঠুন চক্রবর্তী নামটা বর্তমান বাংলা সিনেমা জগতের একটি উজ্জ্বল নাম। এই জগতের অন্যতম সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। বাংলা সিনেমা জগত যখন ডুবতে বসেছিল তখন মিঠুন চক্রবর্তী বাংলা সিনেমা’র হাল ধরেন। একের পর এক হিট ছবি তিনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। মহানায়ক উত্তম কুমা’রের পর তিনি বাংলা সিনেমাকে একটা অন্যতম মাত্রা এনে দিয়েছেন।
তার অ’ভিনীত প্রত্যেকটা ছবি দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রীর কাছে দাদা নামে পরিচিত। তাকে সবাই মহাগুরু নামে চেনে, বাঙ্গালী বাবু নামেও তিনি পরিচিত। শুধু সিনেমা জগতের সুপারস্টারই নয়, তিনি সমাজের চোখেও সুপারস্টার।
সমাজের জন্য অনেক সেবামুলক কাজ, অনেক সামাজিক কাজ তিনি করেছেন। সমাজের দুঃস্থ মানুষদের তিনি অনেক উপকার করেছেন। সমাজের অনেক উন্নয়নমুলক কাজে তিনি অনেক দান করেছেন। অনেক এনজিওর সাথে তিনি যু’ক্ত হয়ে অনেক কাজও করেছেন।
সুত্রের খবর অনুযায়ী আজ থেকে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে এক শি’শুকন্যাকে দত্তক নেন তিনি। যাকে তিনি ডাস্টবিন থেকে কুরিয়ে পান। তিনি তাকে নিজের মে’য়ের মত করে লালন পালন করে বড় করে তোলেন, নিজের পদবী অনুসারে। তবে এটা কোনো সিনেমা’র গল্প নয় একদম বাস্তব সত্য ঘটনা।
খবর অনুযায়ী ২৫ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে কোনো একটি ডাস্টবিনে পরে থাকা একটি শি’শু কন্যা অনবরত কাঁদছিল ও চি’ৎকার করছিল। সেই খবর এনজিও সংস্থার কাছে পৌঁছায়। সেই এনজিও তরিঘড়ি পৌঁছায় ওই জায়গায়। খবর যায় মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে। তিনিও যান সেই জায়গায়।
কন্যা সন্তানটির উপর মিঠুনের মায়া পরে যায়। তিনি ওই এনজিওর কাছে আবেদন করেন যে তিনি শি’শু কন্যাটিকে দত্তক নিতে চান। এই ঘটনা সকলের মনে দাগ কাটে ও সবাই খুব খুশিও হয়। তিনি ওই শি’শু কন্যাটিকে বাড়ি নিয়ে গেলে তার স্ত্রী’ যোগিতা এই সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দেন। এরপর শি’শুকন্যাটি তাদের সাথে বড় হতে থাকে।
শি’শুকন্যাটি বাড়িতে আসার পর সবাই খুব খুশী হয়েছিল। সবাই আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছিল। এরপর মিঠুন চক্রবর্তী কাগজপত্র তৈরী করে তার নাম দেন দিশানী, অর্থাৎ দিশানী চক্রবর্তী। সেই থেকে নিজের বাবার মতন মিঠুন তাকে লালন পালন করে আসছেন।
মিঠুনের পরিবারে আরও তিন সন্তান আছে। মিমো, উস্মে ও নানশি। কিন্তু দিশানীকে কোনোদিনই আলাদা করে দেখেননি তারা। বর্তমানে তিনি বলিউডে পদার্পণ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এখন পড়াশুনা করছেন নিউইয়র্ক ফ্লিম একাডেমি থেকে।