শরীয়তপুর সদর উপজে’লার তুলাসার ইউপিতে স্বামী ছেড়ে সৎ ছে’লেকে বিয়ে করেছেন এক মা। গত ২৪ আগস্ট তাদের এই বিয়ে হয়।
জানা যায়, সদর উপজে’লার তুলাসার ইউপির লতাবাগ গ্রামের নুর হোসেন তালুকদার ১৮ বছর আগে রুবি বেগমকে বিয়ে করে ঢাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন। তাদের ঘরে দুটি ছে’লে হয়। বিয়ের পাঁচ বছর পর রুবি বেগম নুর হোসেন তালুকদারের ঘরে তার দুই ছে’লে রেখে অনত্রে বিয়ে করে চলে যায়।
তার কিছুদিন পর দুই ছে’লে হারিয়ে যায়। পরে নুর হোসেন তালুকদার দ্বিতীয় বিয়ে করেন চাঁদপুরের সিদ্দিক শেখের মে’য়ে সুমিকে। সুমির সঙ্গে এগারো বছর সংসারে ৮ বছরের একটি মে’য়ে সন্তান রয়েছে নুর হোসেন তালুকদারের ঘরে।
নুর হোসেন তালুকদার বারো বছর পর এই বছরের জুন মাসে তার প্রথম স্ত্রী’র ঘরের বড় ছে’লে সজল তালুকদারকে খুঁজে পেয়ে তার ঢাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে যান। সেখানে সুমির সঙ্গে সজলের প্রে’মের স’ম্পর্ক হয়। তাদের মাঝে শারীরিক স’ম্পর্ক হতে থাকে।
পরে তাদের দুজনের ইচ্ছায় এ বছরের ২৪ আগস্ট ঢাকার এক কাজী অফিসে বিয়ে হয়। বিয়ে করে বুধবার ২৬ আগস্ট গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের লতা বাগ গ্রামে উঠায়, বিয়ের গুঞ্জন শুনে এলাকার মানুষ ভিড় জমাতে থাকে দেখার জন্য।
এ বিষয়ে সুমি বেগম বলেন, আগের স্বামী নুর হোসেন তার ছে’লে সজলকে তিনমাস আগে খুঁজে পেয়ে আমাদের বাসায় আনে। আমাদেরকে ঘরে আ’ট’কিয়ে রেখে সে চলে যেতো জুয়া খেলতে আম’রা দুজন দিন-রাত একা থাকতাম। পরে সজল আমাকে প্রে’মের প্রস্তাব দিলে রাজি হই। মাঝেমধ্যে আমাদের মাঝে শারীরিক স’ম্পর্ক হইতো। এরপর আম’রা বিয়ে করি।
ছে’লে সজল তালুকদার বলেন, সুমি ছিলো আমা’র বাবার স্ত্রী’। আম’রা দুজনে বাসায় বসে সময় কা’টাতাম আমা’র সুমিকে ভালো লেগে যায়। প্রে’মের প্রস্তাব দেই আমি পরে আম’রা বিয়ে করে আমা’র গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে চলে আসি।