প্রে’মের আবার বয়স আছে নাকি? এই কথাটি প্রমাণ করলেন ১০১ বছরের এক বৃদ্ধ। গো’লাপ ফুল হাতে নিয়ে দাঁড়ালেন প্রে’মিকার সামনে। ভাবছেন, এই বয়সে আবার প্রে’মিকা!
৭০ বছরের পুরনো প্রে’মিকাকে প্রে’ম নিবেদন করলেন তিনি। অবশ্য সেই প্রে’মের ডাকে সাড়া দিয়েছেন প্রে’মিকাও। গেল ভ্যালেন্টাইনস ডে’র আগের দিনই তিনি উদযাপন করলেন তাদের ভ্যালেন্টাইনস ডে।
প্রে’মিক বৃদ্ধ রবীন্দ্রনাথ বাবুর প্রে’মিকার বর্তমান বয়স ৮৫। তার নাম মঞ্জুরানি দেবী। সেই ৭০ বছর পূর্বে এক ঝলক দেখেই মঞ্জুরানি দেবীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ বাবু। রীতিমতো পছন্দ করে বিয়ে করেছিলেন তাকে। নিয়ে এসেছিলেন নদিয়ার তেঁতুলবেড়িয়া গ্রামে নিজের বাড়িতে।
এরপর থেকেই তাদের মধ্যে প্রে’মের গভীরতা বাড়তে থাকে। এতো বছরের সংসারে তারা কারো হাত কেউ ছাড়েননি। দুই সন্তানের পিতা-মাতা হয়েছেন। ইতিবাচক-নেতিবাচক অনেক পরিস্থিতির সামনেই তাদের পড়তে হয়েছে।
তবে প্রে’মের বাঁধন এতোটুকু আলগা হয়ে যায়নি। আর সম্ভবত সেটাই সবথেকে বড় মনের জো’র রবীন্দ্রনাথবাবুর। ১০১ বছর বয়সেও এখনো তিনি বেশ চাঙ্গা। চশমা ছাড়াই দিব্যি খবরের কাগজ পড়েন।
১০০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরেও বাবা-মাকে আবার বিয়ের সাজে দেখতে চেয়েছিলেন দুই ছে’লে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিরা। আর তাই তারা বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার বিবাহবার্ষিকী’ উপলক্ষে প্রায় বিয়ের মতোই ছোটখাটো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
রবীন্দ্রনাথ দে’র বাড়িতেই বসেছিল বিবাহবার্ষিকী’র অনুষ্ঠান।
রীতিমতো মালা পরিয়ে নিজ স্ত্রী’কেই আবার নতুন করে করলেন বিয়ে। বাজল শঙ্খ, দেয়া হল উলুধ্বনি। গো’লাপ ফুল একে অ’পরকে দিয়ে স্ত্রী’র সঙ্গে সত্তরতম বিবাহবার্ষিকী’ পালন করলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। পাত পেড়ে খেলেন প্রতিবেশীরা। (অনলাইন থেকে সংগৃহীত)