২০১০ সালের ১৯ আগস্ট গাজীপুরের পুবাইলে চয়নিকা চৌধুরীর ‘পালিয়ে বিয়ে’ নাট’কের শুটিং শেষে গভীর রাতে অ’ভিনেতা অ’পূর্বর হাত ধরে প্রভা শুটিং স্পট থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরদিন ভোরে ময়মনসিংহে তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের পর মাত্র একমাস অ’পূর্ব-প্রভা একসঙ্গে ছিলেন। তারপর দাম্পত্য কলহের কারণে প্রায় ৫ মাস তারা আলাদা থেকেছেন। এরপর ডিভোর্সের মাধ্যমে অ’পূর্ব-প্রভা’র স’ম্পর্কের অবসান হয়েছে।
ঢাকার মোহাম্ম’দপুরে প্রভাদের বাসায় দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যস্থতায় তাদের ডিভোর্সের কাগজপত্র তৈরি করা হয় এবং তাতে উভ’য়ে স্বাক্ষর করেন। অ’পূর্বকে দেনমোহর হিসেবে পরিশোধ করতে হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে সেসময় অ’পূর্ব সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মানসিকভাবে আমি খানিকটা বিপর্যস্ত। এ অবস্থায় আমা’র পক্ষে কিছু বলা বা মন্তব্য করা সম্ভব নয়।অ’পূর্বর সঙ্গে প্রভা’র পালিয়ে গিয়ে বিয়ের পর একের পর এক ঘটতে থাকে নাট’কী’য় সব ঘটনা।
প্রথম দিকে অ’পূর্ব-প্রভা’র দাম্পত্য জীবন বেশ মধুর-ই ছিল। উত্তরায় অ’পূর্বর পরিবারিক বাড়িতেই তারা সাজিয়েছিলেন স্বপ্নের সংসার। কিন্তু বিয়ের সপ্তাহখানেক পর ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশে ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে প্রভা ও রাজিবের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আ’পত্তিকর কিছু ভিডিও ফুটেজ।
এ বিষয়টি নিয়েই অ’পূর্ব-প্রভা’র দাম্পত্য জীবনে মেঘ নেমে আসে। কারণ প্রভা অ’পূর্বকে আশ্বস্ত করেছিল যে, রাজিবের সঙ্গে প্রে’মের স’ম্পর্ক ছিল ঠিকই, কিন্তু অন্তরঙ্গ কোনো স’ম্পর্ক ছিল না।
এই নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে অ’পূব আর প্রভা’র মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে বলে জানা যায়। পরবর্তীতে প্রভা তার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে। উত্তরায় অ’পূর্বর বাসা থেকে প্রভাকে তার বাবা এসে নিজের জিম্মায় নিয়ে যান। এরপর প্রভা’র পরিবারের পক্ষ থেকে একাধিকবার এই দম্পতির বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হলেও অ’পূর্ব তাতে সাড়া দেন নি।
সবশেষে দুই পরিবারের সম্মতিক্রমেই তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিয়ে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে। প্রভা’র পরিবারের দাবি’কৃত কাবিননামায় উল্লেখিত দেনমোহরের দশ লাখ এক টাকা অ’পূর্ব পরিশোধ করতে হয়েছে।