রাজবাড়ীর পাংশা উপজে’লার যশাই ইউনিয়নের পারভেল্লাবাড়ীয়া গ্রামের ফজলু মন্ডলের মে’য়ে কলেজ প’ড়ুয়া ইতি খাতুন পু’লিশ সদস্যকে ভালোবেসে নিজের প্রা’ণ
দিয়েছেন। ইতি পাং’শা আইডিয়াল গা’লর্স কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা’র্থী ছিলেন। পাংশা উপজে’লার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের কুরবান আলীর ছে’লে
পু’লিশ সদস্য শাহবু’দ্দিন ওরফে কি’রণকে ভা’লোবেসেছিল ইতি। কিন্তু কিরণ তাকে মিথ্যা ভালবাসার জালে জ’ড়িয়ে ঘুরাতে থাকে দিনের পর দিন। বিয়ের প্রলো’ভন দেখিয়ে ভালোবাসার নাট’ক করে যায় ওই পু’লিশ সদস্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভা’লোবাসার জন্য জীবন দিতে হলো ইতিকে।
ইতির বোন মুশির্দা জানান, গত ৬ আগস্ট বিয়ের দাবি নিয়ে আমা’র বোন কিরণের বাড়িতে যায়। সেখানে কিরণের পরিবার আমা’র বোনকে অমা’নুষিক নি’র্যাতন করে।
মা’রধরের একপর্যায়ে ইতি জ্ঞা’ন হারিয়ে ফেললে স্থা’নীয়রা উ’দ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতা’লে পাঠিয়ে দিয়েছিল।
এরপর থেকেই আমা’র বোনটা সবসময় মনম’রা হয়ে থাকতো। হঠাৎ আ’মাদের চোখ ফাঁ’কি দিয়ে আমা’র বোন ওড়না গ’লায় পেঁ’চিয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করার চেষ্টা করে। পরে আম’রা তাকে উ’দ্ধার করে পাংশা হা’সপাতা’লে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হা’সপাতা’লে নেওয়া হয়।
এরপর রাতে চিকিৎ’সাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। আমা’র বোনকে পরিক’ল্পিতভাবে হ’ত্যা করেছে কিরণ ও তার পরিবার। আমি আমা’র বোন হ’ত্যার বিচার চাই।
ইতির চাচা আব্দুস সালাম বলেন, আমা’র ভা’তিজির ভালো জায়গা থেকে বিয়ে ঠিক
হলেও তাকে ওই ছে’লে বিয়ে ভে’ঙে দিয়েছে বারবার। আমা’র ভাতিজিকে বিয়ের নাট’ক সাজিয়ে প্র’তারণা করতে গিয়েও সেখান থেকে পা’লিয়ে গিয়েছিল ওই ছে’লে।
আমা’র এই আদরের ভা’তিজিকে সে কুষ্টিয়া থেকেও মা’রধর করেছে বলে আম’রা জানতে পেরেছি।
পু’লিশ সদস্য হওয়ায় নানাভাবে আমা’র ভাতিজিকে হয়’রানির চেষ্টা করেছে। ইতি মা’নসিক ও শা’রীরিকভাবে হয়’রানির শিকার হয়ে এ পথ বেছে নিয়েছে, আম’রা এই ঘটনার বি’চার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে পু’লিশ সদস্য কি’রণের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মাকে না পাওয়ায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পু’লিশ সদস্য কি’রণ কু’ষ্টিয়া জে’লায় ট্রাফিক পু’লিশে কর্ম’রত রয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংবাদ লে’খাকালীন সময়ে ইতির লা’শ ম’র্গে রয়েছে।