বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় পর’কীয়ার প্রতি’বাদ করায় শ্বশুরকে কু’পিয়ে প্রেমিক নিয়ে পা’লিয়েছেন এক পুত্রবধূ। স্থানীয়রা গু’রুত’র আ’হত ওই শ্বশুরকে উ’দ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৯টায় স্থানীয় মঙ্গলহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আ’হত ওই শ্বশুরের নাম ফজলুল হক। অভিযু’ক্ত পুত্রবধূ দুই সন্তানের জননী আসমা আক্তার স্বপ্না ফজলুল হকের বড় ছেলে কবির হোসেনের স্ত্রী এবং গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিকনগন গ্রামের আব্দুল জব্বার হাওলাদারের মেয়ে।
আ’হতের ছেলে ও ওই গৃহবধূর স্বামী কবির হোসেন জানান, দীর্ঘ একযু’গ আগে তার সঙ্গে আসমা আক্তার স্বপ্নার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর থেকে স্বপ্না উচ্ছৃ’ঙ্খলভাবে চলাফেরা শুরু করেন। একপর্যায়ে তার ও তার পরিবারের সবার সঙ্গে খা’রা’প আ’চরণ করে আসছিলেন স্বপ্না।
তিনি সব সময় নিজের ইচ্ছে মতো চলাফেরা করতেন এবং একা’ধিক পুরু’ষের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। কবির হোসেন জানান, স্বপ্নার এসব কর্মকা’ণ্ড পরিবারের নজরে আসলে বারবার স্বপ্নাকে নি’ষে’ধ করা হয়। স্বপ্না সংসারে খুঁ’টিনা’টি বিষয় নিয়ে কোনো ধরনের ঝগ’ড়া হলে কাউকে না বলে ঘর থেকে বের হয়ে যান অ’জানার পথে।
কয়েকদিন নিরুদ্দেশ থেকে বাসায় ফিরে আসেন। এভাবে হয়’রানিমূ’লকভাবে কবির ও তার পরিবারকে একা’ধিক’বার মা’মলা দিয়ে সামাজিকভাবে হে’য় প্রতিপ’ন্ন করেন। তিনি আরো জানান, তিনি সংসারের সুখ এবং সন্তানদের কথা ভেবে বারবার স্বপ্নাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
দিন যত যায় স্বপ্নার উচ্ছৃ’ঙ্খলতা ততই বেড়ে যায়। স্বপ্নার অ’নৈতিক ক’র্মকা’ণ্ডের প্রতি’বাদ করলে কথায় কথায় তার ওপর মা’রধ’রসহ অ’মানু’ষিক নি’র্যা’তন চালাতেন। এরই মধ্যে তাদের দাম্পত্যে দুই সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে বড় ছেলের বয়স ৯ বছর।
কবির বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে এক ছেলের সঙ্গে প’রকী’য়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বপ্না। ঘটনার দিন সকালে বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতি’বাদ করলে প্রথমে আমাকে মা’রধ’র করেন, পরে ঘরে থাকা ব’টি নিয়ে আমাকে হ’ত্যার চে’ষ্টায় কো’পাতে আসলে আমার বাবা ফজলুল হক বাঁ’চাতে আসেন।
এ সময় আমার বাবা স্বপ্নার কর্মকা’ণ্ডের প্রতি’বাদ করলে তাকে ব’টি দিয়ে এলো’পাতা’ড়ি কু’পিয়ে র’ক্তা’ক্ত করেন স্বপ্না। পরে স্থানীয়রা আ’হত ফজলুল হককে উ’দ্ধা’র করে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। ততক্ষণে ঘরে থাকা নগদ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে তার পর’কী’য়া প্রেমিকের সঙ্গে পা’লিয়ে যান স্বপ্না।’ এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ বিন আলম বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অভি’যোগ পেয়েছি। তদ’ন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’