ভালোবাসার জন্য যুগে যুগে মানুষ কত কিছুই না করেছে। কেউ জীবন দিয়েছে, কেউ নিয়েছে। আবার কেউ তাজমহল বানিয়েছে, কেউ রাজপ্রাসাদ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে বটতলায়।
কিন্তু নাটোরের বড়াইগ্রামে ঘটেছে ভিন্ন রকম ঘটনা।ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের করতে নারী থেকে পুরুষ হলেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার লক্ষীকোল বাজার এলাকা ‘শাহরিয়ার সুলতানা’।
পুরুষ হয়ে ভালোবাসার মানুষটিকে বিয়ে করে গত ৩০ আগস্ট ঘরে তুলেছেন তিনি।এলাকাবাসী জানান, বড়াইগ্রাম থানার লক্ষীকোল বাজারের বাসিন্দা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক সাজেদুর রহমানের সংসারের ৩৫ বছর আগে জন্ম নেন শাহরিয়ার সুলতানা।
তবে শাহরিয়ার সুলতানা কলেজে পড়া অবস্থায় তার শারীরিক কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে বিএ পাস করে বাড়িতেই থাকতেন শাহরিয়ার সুলতানা।
এরমধ্যে তার শরীরের গঠন অনেকটা পুরুষের মত হয়ে যায়।শাহরিয়ার সুলতানা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২ বছর আগে বগুড়া সদর উপজেলার শিববাটি এলাকার মাহবুবা আক্তারের সাথে পরিচয় হয়।
পরিচয়ের এক পর্যায়ে আমি তাকে আমার সমস্যাগুলো জানাই। সে আমার পাশে এগিয়ে আসে।চিকিৎসার পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি সারাজীবন পাশে থাকার আশ্বাস দেয় সে।
পাশপাশি চিকিৎসার জন্য অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে সে। এক বছর আগে ভারতে একটি হাসপাতালে স্তন অপারেশন এবং জেন্ডার ডিসফোরিয়া অপারেশন করেন তিনি।
এরপর আস্তে আস্তে সম্পূর্ণ পুরুষে রূপান্তরিত হন।শাহরিয়ার সুলতানা বলেন, তার বর্তমান নাম রেখেছেন শাহরিয়ার জাইন। সম্পূর্ণ পুরুষ হওয়ার পর তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্ত হয়।
আমরা দু’জনই আমাদের বিয়ের বিষয়ে উভয় পরিবারকে জানাই। দু’টি পরিবারের সম্মতিতে গত ৩০ আগস্ট বিয়ে হয়েছে।মাহবুবা আক্তার বলেন, শাহরিয়ার জাইনের সততা মুগ্ধ করছে।
পাশাপাশি তাকে অনেক ভালো মানুষ মনে হয়েছে। তাই তাকে বিয়ে করেছি। তবে বিয়ের পর তারা সুখেই আছেন বলে জানান তিনি। মাহবুবা আক্তার তাদের জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন।