আপনার ধারনা সতি’চ্ছে’দ ঠিক থাকলেই সঙ্গিনী সতী বা কুমারী। কিন্তু এই ধারনা যে একেবারেই ভুল। স’তী’চ্ছে’দ ছিঁড়ে যাওয়া মানেই এই নয় যে, সে অন্য পুরুষের সাথে শারীরিক স’ম্প’র্ক করেছে। এই ধারনা একেবারেই অমূলক।
অনেকে ধারনা করেন প্রথম মি’লনে স’তী’চ্ছে’দ ছিঁড়ে রক্তপাত হয়।এই ধারনাও ঠিক নয়। অনেক মেয়ের স’তী’চ্ছেদ পূর্বে ছিঁ’ড়ে না থাকলেও প্রথম মি’লনে ছিঁড়তে পারে কিন্তু অনেক সময় র’ক্ত’পাত হয় না।তবে প্রশ্ন হলো নারীর স’তী’চ্ছে’দ কি আসলেই তার সতীত্ব বহন করে?
না কারণ কুমরীর স’তী’চ্ছে’দ বিভিন্ন কারণে ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে একজন চিকিৎসকই সঠিকভাবে বলতে পারবেন যে, কোন মেয়ের স’তী’চ্ছেদ ছিড়ে গেছে কিনা।তবে এমন কিছু কিছু লক্ষণ আছে যা দ্বারা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে, আসলেই আপনার স’তী’চ্ছে’দ ছিঁড়ে গেছে কিনা।
যেমন:
১. আপনার স’তি’চ্ছেদ পরীক্ষা করার জন্য একটি আয়না নিন। এবার দু পা ফাঁক করে আ’ঙ্গুলের সাহায্যে ভ’ঙ্গা’কুর দুই দিকে সরিয়ে ধরুন। যদি ছোট রিং আকারের একটি পর্দা দেখতে পান, তবেই বুঝবেন আপনার স’তী’চ্ছেদ ঠিক আছে। ২. স’তী’চ্ছেদ ছিঁড়ে গেলে ব্যা’থা হয়, র’ক্তপাত হয়। যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন যে
কবে আপনার স’তী’চ্ছেদ ফে’টেছিল। ৩. মেয়েদের স’তী’চ্ছেদ যে শুধু হ’ম্ত’মৈ’থুন ও স’হবাসের ফলে ন’ষ্ট হয় তা নয়। চাপের কোন কাজ করলে, সাঁতার কাঁটা, গাছে উঠা, খেলাধূলা, ইত্যাদি কারণেও ছিন্ন হতে পারে স’তী’চ্ছে’দ।’স’তী’চ্ছেদ সম্পর্কিত বাস্তব বিষয়গুলি হলো
১. প্রত্যেক ১০০০ মেয়ে বাচ্চার মধ্যে কমপক্ষে ১ জন ভুমিষ্ট হয় স’তি’চ্ছেদ ছাড়াই। ২. ১০০ জনের ভিতর ৪০ জন নারী প্রথম বার মি’লনে র’ক্তপাত হয় না। ৩. সাঁতার, খেলাধূলা বা অন্য কোন কারণে স’তী’চ্ছেদ ন’ষ্ট হতে পারে। ৪. সতীচ্ছেদে একটি ছোট ছিদ্র থাকে। যেটি ( periods ) মা’সিকের সময় period p’ain ও
র’ক্ত ধারা প্র’বাহিত হওয়ার জন্য স্বভাবিক থেকে একটু বড় হয়।
৫. যদি টেমপন’ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে স’তী’চ্ছেদ ছিঁড়ে যেতে পারে। ৬. স’তী’চ্ছেদ ছিঁ’ড়লেই যে রক্ত ক্ষরণ হবে এমন বা’ধ্যবধকতা নেই। র’ক্তক্ষরণ ছাড়াই স’তী’চ্ছে’দ ছিঁড়ে যেতে পারে।মেয়েদের স’তীত্ব ঠিক আছে কিনা এ প্রশ্ন করার আগে
নিজের স’তী’ত্ব ঠিক আছে কিনা ভেবেছেন? পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজ ব্যবস্থায় নারীর স’তী’ত্ব ঠিক কিনা এ প্রশ্ন করা নারীকে অপমান করার শামিল।পুরুষ বা নারীর স’তী’ত্ব ঠিক কিনা এটা নিজেরা পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাস থেকে ঠিক করে নিন।