বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ পু’লিশের হাতে গ্রে’প্তার হাই’কোর্টের বেঞ্চ অফিসার মোরশেদুল হাসান সোহেলের নানা অ’পকর্মের কথা বেরিয়ে আসছে।
গত ৬ আগস্ট তাকে গ্রে’প্তারের সময় ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে চান পু’লিশকে। ঘুষের প্রস্তাব পেয়ে পু’লিশ কর্মক’র্তারা আরো নিশ্চিত হন যে তিনি একজন অ’প’রাধী।
অন্যদিকে মোরশেদুল হাসানের বিষয়ে ত’দন্ত করতে গিয়ে পু’লিশ জানতে পেরেছে হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবারের মাধ্যমে মা’দক বিক্রির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলেন।
যাত্রাবাড়ী থা’নার (ওসি) মাজহারুল ইস’লাম জানান, গত ৬ আগস্ট যাত্রাবাড়ি থা’নার সাব-ইন্সপেক্টর আতোয়ার রহমান অ’ভিযান চালিয়ে রানা মন্ডল নামের এক মা’দক কারবারীকে গ্রে’প্তার করা হয় যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে। এ সময় তার কাছ থেকে ১০০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে রানা জানায়, এই ইয়াবা সে মিরপুর এলাকার ‘মা’দক সম্রাট’ সোহেলের কাছ থেকে কিনে এনেছে। পরে তার দেয়ার তথ্যর ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থা’না ও মিরপুর থা’না পু’লিশ ওই দিনই অ’ভিযান চালায় মিরপুরের মধ্য পীরের বাগের ৩১৫ নম্বর (তাসমিম বিজয় অ্যাপার্টমেন্ট)র চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে।
সেখানে গিয়ে ফাতেমা ইস’লাম চাদনী নামের আরেক খুচরা মা’দক বিক্রেতাকে পায় পু’লিশ। তার কাছ থেকে ২০০ পিস ইয়াবা উ’দ্ধার করা হয়। আর সোহেলের কাছে পাওয়া যায় ৬০০ পিস ইয়াবা। পরে দু’জনকে গ্রে’প্তার থা’নায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট এক পু’লিশ কর্মক’র্তা আজ জানান, মা’দক কারবারী হিসেবে তাকে গ্রে’প্তারের জন্য বাসায় ঢোকে পু’লিশ। প্রথমে পু’লিশকে ধমক দেয়ার চেষ্টা করেন সোহেল। পরে প্রমাণ পেয়ে দমে যান তিনি।
এর পর পু’লিশকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব করেন। পু’লিশ প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে গ্রে’প্তার করে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। গ্রে’প্তারের পর তার বি’রুদ্ধে মিরপুর থা’নায় মা’দক আইনে মা’মলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ফ্ল্যাটের ভেতরে গিয়ে দেখা যায় ইয়াবা সেবনের বেশ কিছু সরঞ্জাম রয়েছে। পু’লিশের ধারণা একাধিক ব্যক্তি ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে ইয়াবা সেবন করতেন। আর ভবনের ফ্ল্যাট মালিকরা জানিয়েছেন,
ওই বাড়িতে সোহেলের ফ্ল্যাটে অসামাজিক কর্মকা’ণ্ড চলতো। যে কারণে তারা অসহায় ছিলেন। সোহেল ইয়াবা বিক্রির পাশাপাশি সেবনও করে বলেও তথ্য পায় পু’লিশ।
মিরপুর মডেল থা’নার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, ‘আম’রা তার অ’প’রাধের ত’দন্ত করছি।’