জোয়ার না থাকলে আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের সব জায়গায় থেকে ব’ন্যার পানি নেমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন দু’র্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।






শনিবার সচিবালয় থেকে এক ভা’র্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ব’ন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কী’করণ কেন্দ্র এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাভাস তুলে ধরে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬টি জে’লায় আরও দুদিন ব’ন্যার পানি বাড়বে। ২৭ জুলাই পর্যন্ত পানি বাড়ার পর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে।’






তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ জে’লায় ব’ন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সমুদ্রে জোয়ার থাকলে মধ্যাঞ্চলের পানি কমতে বিলম্বিত হতে পারে। জোয়ার না থাকলে হয়তো আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের সব জায়গা থেকে পানি নেমে যেতে পারে।’






এনামুর রহমান বলেন, ‘ব’ন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে, এটা কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা ও পদ্মা’র পানি বাড়তে পারে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি কমছে। ঢাকা জে’লার আশপাশের নদীর পানি আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তে পারে।’






তিনি বলেন, ‘ব’ন্যায় ত্রাণ সহায়তা তদারকি করতে ছয়টি কমিটি আছে। এই কমিটিগুলো উপজে’লা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রম মনিটরিং করবে। আগামী ২১ দিন তারা এই দায়িত্ব পালন করবে।’






‘তারা মাঠ পর্যায়ের যে কোনো সমস্যা সমাধান করবেন এবং যে কোনো চাহিদা পূরণে আমাদের জানাবেন, আম’রা সে অনুযায়ী বরাদ্দ দেব। কোথাও যদি কেউ খাদ্যে ক’ষ্ট পায় ৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করলে সেখানে ত্রাণসহায়তা পৌঁছানো হবে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
ব’ন্যার্তদের জন্য গত ২৮ জুন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত তিন কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার নগদ টাকা, ৫২ হাজার ১০ টন চাল, এক লাখ ২১ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট, গো-খাদ্য কিনতে এক কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং শি’শু খাদ্য কিনতে আরও ৭০ লাখ টাকা দিয়েছি।
‘কয়েক জায়গায় ঘরবাড়ি নদীতে ভেঙে গেছে, সেগুলো নির্মাণের জন্য ৩০০ বান্ডিল টিন এবং ৯০ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে,’যোগ করেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।