সে’নাবাহি’নীর সাবেক মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হ’ত্যা মা’মলায় আ’সামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন আ’সামিকে গতকাল শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাত পর্যন্ত
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে পারেনি র্যাব। হ’ত্যা মা’মলার আ’সামি ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন আসামিকে সাতদিন এবং চার আ’সামিকে জেলগেটে
জি’জ্ঞাসাবাদের জন্য আ’দেশ দিয়েছেন আ’দালত।
সে মতে প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার র্যাব-১৫ কর্তৃপক্ষ। তবে আদালতের রি-মান্ড মঞ্জুরের নথিপত্র এখনও কা’রাগারে পৌঁছায়নি। ফলে রি’মান্ডে নেয়া হয়নি আ’সামিদের। কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে, আদালতের আদেশ তাদের কাছে না পৌঁছানোয় তারা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এদিকে ওসি প্রদীপসহ টেকনাফ থানার ৭ পুলিশ
সদস্যকে গতকাল ব’রখাস্ত করা হয়েছে। আ’ত্মসমর্পণ না করা হত্যা মা’মলাটির আরও দুই আ’সামির ওপর গ্রে-প্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে আ’দালতের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর রাত ১০টার দিকে সাত আ’সামিকে কক্সবাজার কা’রাগারে
নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে গতকাল জানা গেছে, আ-ত্মসম-র্পণ করা সাত আ’সামিকে সাময়িক ব’রখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে মা’মলা হওয়ার পর তাঁদের দায়িত্ব থেকে প্র’ত্যাহার করা হয়েছিল।
গতকাল সকালে কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে আ’সামিদের বিষয়ে প্রক্রিয়া অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করেছি।অন্যদিকে গতকাল সন্ধ্যায় কক্সবাজার কা’রাগারের
ত’ত্ত্বাবধায়ক মোজাম্মেল হোসেন একটি জাতীয় দৈনিককে বলেন, ‘আমি আদালতের নির্দেশনার খবর শুনেছি। তবে এখনো আমার কাছে অফিশিয়াল কোনো চিঠি বা নির্দেশনা এসে পৌঁছেনি। নির্দেশনা না এলে আমার করার কিছুই নেই।’ অপরদিকে
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান বলেন, আদালতের আদেশপ্রাপ্ত আ’সামিদের রি’মান্ড প্রক্রিয়া শুরু করতে পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া রয়েছে। নথি কারাগারে পৌঁছালেই সে অনুযায়ী আমরা কাজ শুরু করব।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, সিনহা হ’ত্যা মা’মলার আ’সামিদের রি’মান্ডে নিতে কোনো ধরনের অনুমতি এখনও হাতে পৌঁছেনি। আদালত থেকে আদেশের কপি হাতে আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে মেজর (অব.) সিনহা হ’ত্যা মা’মলায় অ’ভিযুক্ত ওসি প্রদীপসহ সাত আ-সা-মিকে গ্রে-ফতার করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হলে প্রথমে জামিন শুনানি হয়।
জা’মিন না মঞ্জুর হলে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর পক্ষ থেকে ১০ দিনের রি-মা-ন্ড আবেদন করেন মেজর মেহেদী হাসান। শুনানি শেষে ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে সাতদিন করে রি-মা-ন্ড মঞ্জুর করেছেন আ-দালত।
এছাড়া বাকি চার আসামিকে দুদিন করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অ’নুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।