পু’লিশের গু’লিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান নি’হতের পর গ্রে’ফতার সাহেদুল ইস’লাম সিফাত জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার জে’লা কারাগার থেকে স্বজনরা তাকে নিয়ে যান। এ সময় তার আইনজীবী মাহাবুবুল আলম শাহীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জামিনে মুক্তির পর কারা ফট’কে পৌঁছালে সাদা পোশাকধারী লোকজন সিফাতকে দ্রুত নম্বরবিহীন একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান। কারা ফট’কে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তিনি।
এর আগে সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে টেকনাফ উপজে’লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আ’দালত-৩ এ পু’লিশের করা দুই মা’মলায় জামিন পান সিফাত। এ সময় বিচারক দুটি মা’মলারই ত’দন্ত কর্মক’র্তা পরিবর্তন করে র্যা’বকে এর ত’দন্তভা’র দেন।
এছাড়া রোববার মেজর সিনহার আরেক সঙ্গী মা’দক মা’মলায় গ্রে’ফতার শিপ্রা দেবনাথকে জামিন দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আ’দালত।
মেজর সিনহা নি’হতের ঘটনায় রামু থা’নায় করা মা’দক মা’মলায় শিপ্রাকে আর টেকনাফ থা’নায় করা মা’দক ও হ’ত্যা মা’মলায় সিফাতকে আ’সামি করে পু’লিশ।
আ’দালত প্রাঙ্গণে সিফাতের আইনজীবী ও জে’লা জজ আ’দালতের সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্ম’দ মোস্তফা বলেন, ‘আম’রা পু’লিশের সাজানো মা’মলা থেকে সিফাতের মুক্তি এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা পরিবর্তন করে র্যা’বের কাছে হস্তান্তরের আবেদন জানিয়েছিলাম।
আ’দালতের বিচারক তামান্না ফারাহ পাঁচ হাজার টাকা জিম্মায় সিফাতকে জামিন দিয়েছেন। মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা পরিবর্তন করে র্যা’বকে ন্যস্ত করেছেন। সিনহা হ’ত্যা মা’মলার একমাত্র সাক্ষী সিফাতকে র্যা’ব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আইনি কোনো সমস্যা নেই।’
পরে সিফাতের মামা মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিফাত আমা’র সঙ্গেই আছে।’ কবে ঢাকায় ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, `কয়েক দিন দেরি হবে।’
সুত্র: প্রথম আলো