আজ মঙ্গলবার জন্মাষ্টমী। পঞ্জিকামতে সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিনী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।
পুরাণমতে দ্বাপরযুগের এই তিথিতেই মানবরুপে মর্ত্যে আবির্ভূত হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। সচরাচর ভাদ্রমাসের প্রথমদিকেই জন্মাষ্টমী পালন হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার এক অভিজ্ঞ জ্যোতিষ লক্ষণচন্দ্র মাহান্ত বলেন,
“সাধারণত তিথির বিচারে অধিকাংশ বছরেই ভাদ্র মাসে জন্মাষ্টমী পালিত হয়। গত বছরের তুলনায় এবছর প্রায় ১০ দিন এগিয়ে এসেছে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিখি। তাই শ্রাবণ মাসেই এবছর জন্মাষ্টমী পালিত হচ্ছে।”
কথিত আছে জন্মাষ্টমীর দিন কিছু কাজ ভুলেও করতে নেই। অজান্তে ওই ছোট ছোট ভুলের জন্য আপনার হতে পারে সর্বনাশ। ঠিক কোন কাজ করলে বিপদ হতে পারে, তা আপনার জানা নেই তাই তো? চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক জন্মাষ্টমীর দিন কী কী করবেন না।
১. বাড়িতে জন্মাষ্টমীর পুজো থাকলে দেরি করে ঘুম থেকে উঠবেন না। সম্ভব হলে গঙ্গাস্নান করতে পারেন। শুদ্ধবস্ত্র পরে নিন।
২. ওইদিন ভুলেও ঠাকুরঘরে বাসি ফুল রাখবেন না।
৩. স্টিল কিংবা লোহার প্রদীপ ভুলেও ব্যবহার করবেন না।
৪. বাড়িতে জন্মাষ্টমীর পুজো শেষ হওয়ার আগে ভুলেও কিছু খাবেন না।
কী করবেন:
১. জন্মাষ্টমীর পুজোয় বসার সময় শুদ্ধবস্ত্র অবশ্যই পরুন।
২. শ্রীকৃষ্ণের পুজোয় টাটকা ফুল ব্যবহার করুন।
৩. তামা, পিতল এবং মাটির প্রদীপ শ্রীকৃষ্ণের পুজোয় ব্যবহার করুন।
৪. প্রসাদে অবশ্যই মাখন, মিছরি রাখুন। প্রসাদের সঙ্গে তুলসি পাতা দিন।
৫. জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণ ও বলরামের হাতে রাখি বাঁধুন। তাতে আপনি অনায়াসেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
৬. জন্মাষ্টমীতে শাঁখের মধ্যে সামান্য দুধ রাখুন।
৭. ওইদিন পারলে খাদ্যশস্য বিলি করতে পারেন।
৮. ময়ূরের পালক এদিন অবশ্যই ঘরে রাখুন।
৯. ছোট্ট একটি রূপোর বাঁশি পুজোর ঘরে রাখুন। পুজোপাঠ শেষে তা নিজের ব্যাগে রাখুন। তাতে দেখবেন আর্থিক দিক থেকে কোনওদিন কোনও সমস্যায় পড়বেন না আপনি।
১০. বাড়িতে পারলে গরু কিংবা বাছুরের কোনও শো-পিস কিনুন। তাতেই দেখবেন ঈশ্বরের কৃপায় সমৃদ্ধি হবে আপনার।