শাহেদ কেলেঙ্কারি, রিজেন্ট হাসপাতালকে মেশিনপত্র সরবরাহ, জেকেজি কেলেঙ্কারিসহ নানা দু’র্নীতির দায়ে গ্রে’প্তার হতে পারেন স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ। ইতিমধ্যে তিনি যাতে দেশত্যাগ না করতে পারেন সেজন্য নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।






সূত্রটি বলছে, আবুল কালাম আজাদ দু’র্নীতির দায় এড়ানোর জন্যই পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিদেশ চলে যেতে পারেন এমন আশ’ঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।






স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের বি’রুদ্ধে দু’র্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এরমধ্যেই অ’ভিযোগগুলো থেকে দায় এড়াতে স্বপক্ষে বিভিন্ন যু’ক্তিতর্ক উপস্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’র্নীতি দমন কমিশনে ডা’কা হবে বলে দুদকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।






করো’না সঙ্কটের শুরু থেকেই ডা. আবুল কালাম আজাদ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং একের পর এক বি’ভ্রান্তিকর বক্তব্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে জনমনে বির’ক্তির কারণ তৈরি করেন। পরবর্তীতে দেখা যায়, বিভিন্ন অনিয়ম এবং দু’র্নীতির সঙ্গে তার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।






রিজেন্ট হাসপাতা’লের সঙ্গে চুক্তির দায় সাবেক স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক কিছুতেই এড়াতে পারেন না। এই চুক্তিটি একটি দু’র্নীতি এবং এ ব্যাপারে সাবেক মহাপরিচালকের সংশ্লিষ্টতা কতটুকু ছিলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।






এদিকে, সমস্ত সরকারি আইনকানুন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই রিজেন্ট হাসপাতালকে মেশিনপত্র সরবরাহ করেছিলো অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। সেখানে রিজেন্ট হাসপাতা’লের মতো একটি বেসরকারি হাসপাতালকে সিএমএসডি থেকে কিভাবে দামী মেশিনপত্র সরবরাহ করা হলো সেটি একটি বিস্ময় বলে মনে করছে সংস্থাটি।






এছাড়াও জেকেজি’র সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক হওয়া মহাপরিচালকের স’ম্পর্ক কী’ এবং কেন তিনি জেকেজিকে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিলেন এই নিয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। জেকেজি’র ব্যাপারে যখন অ’ভিযোগ করা হয়েছিল তখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নির্লিপ্ত থেকেছিলেন।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জেকেজিকে আইন বহির্ভূতভাবে পিপিই, মাস্কসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়ার ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক উদার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। এটা কী’ নিছক ভুল নাকি দুরভিসন্ধিমূলক অনিয়ম এবং দু’র্নীতি সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে দুদকের একজন কর্মক’র্তা বলেছেন, যে অ’ভিযোগ উঠেছে সেটা তার দায়িত্বহীনতাই হোক, অযোগ্যতাই হোক বা অ’জ্ঞাতেই হোক না কেন তা অবশ্যই অন্যায় এবং এটা অনুসন্ধানে যদি দেখা যায় যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের এখানে ইচ্ছাকৃত সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাহলে অবশ্যই তার বি’রুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।