রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী যে এলাকা থেকে গ্রেপ্তা’র করা হয়েছিল, আজ বৃহস্পতিবার তাকে সেই স্থানে নিয়ে গিয়েছিল র্যাপিড অ্যা’কশন ব্যাটালিয়ন (র্যা’ব)।
মা’মলার তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কর্মকর্তা ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিলে বিকেলে সাহেদকে নিয়ে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের শাখরা কোমরপুরের লাবণ্যবতী নদীর উপর বেইলি ব্রিজে নিয়ে যায়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার বজলুর রশিদ।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, সাহেদকে নিয়ে র্যা’ব যখন ব্রিজের উপর আসে তখন স্থানীয় লোকজন সেখানে ভিড় জমায়। ঘটনাস্থলে আসেন সাংবাদিকরাও। তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে র্যা’ব কর্মকর্তারা ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সাহেদের সঙ্গে কিছুক্ষণ (৫ থেকে ৭ মিনিট) কথা বলেন।
তারপরই সাহেদকে গাড়িতে তুলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন র্যা’ব কর্মকর্তারা। এ সময় সাহেদের মুখমণ্ডল ছিল হেলমেটে ঢাকা, গায়ে ছিল গেঞ্জি ও র্যা’বের নিরাপত্তা জ্যাকেট।
এ ব্যাপারে র্যা’ব কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, ‘মামলার তদন্তের স্বার্থে র্যা’ব সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এর অংশ হিসেবেই তাকে গ্রেপ্তা’রের স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
এদিকে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র মাম’লায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পু’লিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তা’র করা হয়। পরে র্যা’ব গণমাধ্যমকে জানায়, দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের লবঙ্গবতী নদীর পাড় থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তা’র করা হয়। নদীর ধারে একটি নৌকা ছিল। ওই নৌকায় উঠে ভা’রতে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাহেদ। ঠিক সে সময় তাঁকে গ্রেপ্তা’র করা হয়।