পু’লিশ ও ইউএনওকে দেখে বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছেন বর ও অ’তিথিরা। ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজে’লার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার দেউলডাংরা গ্রামের জামাল উদ্দিনের মে’য়ের (১৫) সঙ্গে একই ইউনিয়নের হাড়িয়াকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছে’লে আমিনুল ইস’লামের (২২) বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল।
ভু’য়া জন্মনিবন্ধন বানিয়ে মে’য়ের বয়স বাড়িয়ে দুপুরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বরপক্ষের লোকজন। এ সময় হাজির হন ইউএনও ও পু’লিশ। তাদের দেখে দৌড় দেন বর ও অ’তিথিরা। এ সময় ধ’রা পড়েন কনের বাবা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দেউলডাংরা গ্রামের ভ্যানচালক জামাল উদ্দিনের মে’য়ে স্থানীয় একটি মাদরাসায় নবম শ্রেণিতে পড়ে। তার সঙ্গে হাড়িয়াকান্দি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছে’লে আমিনুল ইস’লামের বিয়ের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার বিয়ের দিন যথারীতি সকাল থেকে আয়োজন চলছিল। খবর পেয়ে হাজির হন ইউএনও। এতে বিয়ে পণ্ড হয়ে যায়।
নান্দাইল উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দিন বলেন, জো’র করে মাদরাসাছা’ত্রীকে বাল্যবিয়ে দিচ্ছিল পরিবারের লোকজন। স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খবর পেয়ে কনের বাবাকে বিয়ে বন্ধের জন্য বলা হয়।
কিন্তু বিয়ে বন্ধ না করায় পু’লিশ নিয়ে অ’ভিযান চালানো হয়। এ সময় বর ও তার পক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। কনের জন্মনিবন্ধন যাচাই করে দেখা যায়, কনে নবম শ্রেণিতে পড়লেও ভু’য়া জন্মনিবন্ধনে তার বয়স ১৯ বছর দেয়া আছে। তবে জন্মনিবন্ধনে নেই স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর। পরে কনের বাবাকে আ’ট’ক করা হয়।
ইউএনও এরশাদ উদ্দিন বলেন, অ’প’রাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আ’দালত বসিয়ে কনের বাবাকে ১০ হাজার টাকা জ’রিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে তাকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনোভাবে বাল্যবিয়ে দেয়া চলবে না।