হারুন-অর রশিদ তালুকদার, আমিনুল ইস’লাম তালুকদার, আকতার হোসেন তালুকদার ও সাইদুল ইস’লাম তালুকদার। সিরাজগঞ্জ সদর উপজে’লার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচ ঠাকুরী গ্রামের তালুকদারবাড়ীর চার ভাইয়ের একান্নবর্তী পরিবার।
তিন বিঘা জমির উপর তাদের বাড়িতে একটি টিনসেড ও ১১টি অর্ধপাকা ঘর। ছিল তিন হাজার মুরগির খামা’র। বাড়ির সামনে আরও চার বিঘা জমিও ছিল তাদের। গাছপালা, আসবাবপত্র সব মিলিয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা সম্পদের মালিক তালুকদার পরিবারটি মুহূর্তেই নিঃস্ব হয়ে গেল।
শুক্রবার হঠাৎ করেই যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে এই পরিবারটি। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাড়িঘর-জমিজমা সবকিছুই বিলীন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হারুন-অর-রশিদ তালুকদার বলেন, ‘শুক্রবার হঠাৎ করেই সিমলা স্পারটি দেবে যায়।
শুরু হয় তীব্র নদীভাঙন। কেউ বুঝে ওঠার আগেই একের পর এক ভেঙে পড়তে থাকে বসতভিটা। ভাঙনের গতি এতটাই দ্রুত ছিল যে, কোনো আসবাবপত্র সরাতে পারিনি।’ আমিনুল ইস’লাম তালুকদার বলেন, ‘এমনভাবে ভাঙলো যে নিজেদের জীবন নিয়ে ফিরে আসাই দায় হয়ে পড়েছিল।
সম্পদের দিকে ফিরে তাকানোর কোনো সময় ছিল না।’ ভাঙনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতিকে দায়ী করে তারা বলেন, ‘আগে থেকেই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিলে এই ভাঙন দেখা দিতো না, আম’রাও নিঃস্ব হতাম না।’
ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম বলেন, ‘নদীভাঙনে আড়াইশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৩৫টি পরিবার তাদের বাড়িঘর, আসবাবপত্র কোনোকিছুই সরানোর সুযোগ পায়নি। আম’রা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে উপজে’লা পরিষদে পাঠিয়েছি। তাদের পুনর্বাসনে সরকারি সহায়তার আবেদন করা হয়েছে।’