করো’না নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে লন্ডনে যাওয়ার জন্য রওনা হলেও বিমানবন্দর থেকে ফেরত এসেছেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের মে’য়ে ঐশী খান।
কারণ, অনলাইনের রেজাল্টের সঙ্গে তার হাতে থাকা করো’নার রিপোর্টের মিল পাননি ইমিগ্রেশন কর্মক’র্তারা।






রবিবার (২৬ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির একাধিক কর্মক’র্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার রেজাল্ট পজিটিভ এবং তাকে পজিটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কাছে তার পিসিআর পরীক্ষার মূল (অরিজিনাল) পজিটিভ রিপোর্টটি এসেছে।






এদিকে পজিটিভ ও নেগেটিভ রিপোর্টে দেখা গেছে স্বাক্ষরকারী একজন নয়। একই প্রতিষ্ঠানের দুই জন কর্মক’র্তা স্বাক্ষর করেছেন। পজিটিভ রিপোর্টে স্বাক্ষর করেছেন ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারাল সেন্টারের পরিচালক এবং প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্ম’দ শামসুজ্জামান এবং নেগেটিভ রিপোর্টে স্বাক্ষর করেছেন একই প্রতিষ্ঠানের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মক’র্তা (আরএমও) বায়েজিদ বিন মনির।






স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মক’র্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্ম’দ শামসুজ্জামান স্বাক্ষরকৃত রিপোর্টটি আসল এবং সেটি পজিটিভ। নেগেটিভ রিপোর্ট কোথা থেকে এলো তা নিয়ে তারাও সন্দিহান। তবে তারা বলছেন, অধিদফতর থেকে পজিটিভ রিপোর্টের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির মাধ্যমে।






ঐশী খানের রিপোর্ট পজিটিভ এবং তিনি এই অবস্থায় লন্ডনে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। বিমানবন্দরে ঐশী খান যে করো’না নেগেটিভ রিপোর্টের হার্ডকপি নিয়ে যান সেখানে স্বাক্ষর ছিল বায়েজিদ বিন মনিরের। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অফিস সময় শেষে তিনি ঘটনা শুনেছেন।






কালকে সকালের আগে তিনি কিছু জানাতে পারবেন না।’ অন্যদিকে শাহ’জাহান খান দাবি করেন, ‘গতকাল শনিবার মহাখালী থেকে নেগেটিভ রিপোর্টের হার্ডকপি নিয়ে আসেন তার বিশেষ সহকারী। কিন্তু ইমিগ্রেশন যখন অনলাইনে চেক করে তখন সেটি পজেটিভ দেখায়।
তার রিপোর্ট অনলাইনে এবং হার্ডকপিতে কী’ভাবে ভিন্ন হলো তা নিয়ে তিনি সোমবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর অ’ভিযোগ করবেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ই’মা’রজেন্সি অ’পারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে সংশ্লিষ্ট ল্যাবের পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট যাচাই করা হয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন ওই রেজাল্ট পজিটিভ। আমাদের তরফ থেকে রেজাল্ট ঠিকই পজিটিভ আছে। উনি এই নেগেটিভ সার্টিফিকেট কোথা থেকে পেয়েছেন সেটা আমাদের জানা নেই।