ক’রোনা কালেও আবাসিক হোটেলগুলোতে চলছে রমরমা দে’হ ব্যবসা। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত এ সকল আবাসিক হোটেল। আবাসিক হোটেলের নামে পরিচিতি থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে আড়ালে চলে আসছে অ’নৈতিক কাজ। প্র’শাসনের নাকের ডগায় চলছে রমরমা দে’হ ব্যবসা।
আর এই হোটেলগুলোতে উঠতি ব’য়সী ছেলেদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। এতে ধ্বং’স হচ্ছে যুব সমাজ। দীর্ঘদিন ধরে হোটেলে এই ব্যবসা চলে আসছে, বি’ষয়টি স্বীকারও করেছেন হোটেলের ম্যানেজাররা।
অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করা হয় বলে জানান। সরেজমিনে একটি হোটেলের গেটে ঢুকতেই দেখা যায় বাবু সোনা আসো বলে রিসিপশনে দাঁড়িয়ে আছেন একজন নাবালিকা। দ্বিতীয় ধাপে আসবে কাস্টমারের পছন্দেরর না’রী খোঁ’জ মিলবে, ইচ্ছে মতো রমনীদের দেখে-শুনে কথা বলে পছন্দ করার বি’ষয়টি।
কয়েকটি রুমে রয়েছে একাধিক না’রী। বিভিন্নভাবে কাস্টমারকে আকৃ’ষ্ট করতে তারা ব্যস্ত। পছন্দ হলে চলে দরকষাকষি, বাস্তবে এমন চিত্র দেখা গেছে যে, দরকষাকষির এক পর্যায়ে হোটেল থেকে ফিরে আসতে গেলে যে কোনো একজন একটু আড়ালে ডেকে নিয়ে কিছু অ’শ্লীল কথা বলে।
একই সাথে বিভিন্নভাবে অ’ঙ্গাভ’ঙ্গির মাধ্যমে আকৃ’ষ্ট করার চে’ষ্টাও করছে উঠতি ব’য়সের মে’য়েরা। কৌশলে পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে ইডেন কলেজের ছাত্রী এবং বলে দাবি করেন একজন। খোঁ’জ নিয়ে জানা গেছে, এসব অ’বৈধ দে’হ ব্যবসায় জ’ড়িতরা বিভিন্ন স্কুল কলেজের মে’য়েরা।
এদের বড় ধরনের নেটওয়ার্ক আছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে এই অ’বৈধ ব্যবসা করেন তারা। সরেজমিন পরিদ’র্শনে হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং প’তিতাদের এই অ’বৈধ কর্মকাণ্ডের ১৫ মিনিট ২১ সেকেন্ডের একটি অডিও রেকর্ডও রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে।
আবাসিক হোটেলের নামে দিনের পর দিন চলছে এই রমরমা দে’হ ব্যবসা। এখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া উঠতি ব’য়সী তরুণসহ বিভিন্ন ব’য়সের মানুষের আনাগোনা রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবাসিক হোটেলে কর্মরত এক ব্যক্তি জানান,
আমি এখানে চাকরি করি। হোটেলের মালিক পক্ষ বিভিন্ন ব’য়সের না’রীদের নিয়ে এসে প’তিতাবৃত্তি চা’লিয়ে আসছেন। এই হোটেলে যে কোনো সময়ে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ধরনের না’রীর দেখা মিলবে বলে জানান তিনি।
আবাসিক হোটেলের নামে এই অ’বৈধ প’তিতালয়ের ব্যবসার বি’ষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ম্যানেজার জানান, আমরা কয়েকজন লোকাল মে’য়েকে নিয়ে এ ব্যবসা করি এ কথা সত্য। অনেক কিছুই ম্যানেজ করে এ কাজ করি।
আমি অন্য চাকরি খুঁ’জছি এই কাজ ছেড়ে দিবো বলে। আসলে আমারও পরিবার আছে। অন্য চাকরি পেলেই এ কাজ ছেড়ে দিব। এই নিউজ না করার জন্য প্রতিবেদককে অ’নুরোধ করেন হোটেল ম্যানেজার।