সে’নাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হ’ত্যাকা’ণ্ড ইস্যুতে কক্সবাজারের পু’লিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের গ্রে’প্তার ও রি’মান্ড দাবি করেছেন জে’লা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী।
একইসঙ্গে এসপি মাসুদ হোসেনের যাব’জ্জীবন কারাদ’ন্ড ও পূর্ব অ’প’রাধের বিচার দাবি করেছেন তিনি। শুক্রবার (৭ই আগষ্ট) ৬টা ৫ মিনিটে এ দাবিতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস লেখেন জে’লা আওয়ামী লীগ নেত্রী কাবেরী।
পাঠকদের কাছে তার স্ট্যাটাসটি হবহু তা তুলে ধ’রা হলো- ‘কক্সবাজার পু’লিশ সুপার মাসুদ সাহেবকে অবিলম্বে গ্রে’প্তার ও রি’মান্ডে নেয়া হউক। যাব’জ্জীবন কারাদ’ন্ড চাই। পূর্ব অ’প’রাধেরও বিচার হউক।’
এদিকে তার এই স্ট্যাটাসে মুহূর্তের মধ্যেই ৫ শতাধিক কমেন্টস পড়ে। শত শত শেয়ার হয়ে যায়। সাহসী লিখনির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে অনেকেই। পু’লিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বি’রুদ্ধে
এমন কঠোর স্ট্যাটাস দেয়ার কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন, কক্সবাজার জে’লার কোন থা’নায় টাকা ছাড়া মা’মলা হয় না। সাধারণ মানুষকে হয়’রানি করা হয়।
মা’মলার টাকার ভাগ পু’লিশ সুপার পান। না হলে তিনি ব্যবস্থা কেন নেন না? তার দাবি, অনেক নিরীহ মানুষজনের পকে’টে ইয়াবা, অ’স্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁ’সানো হয়। অধীনস্থ অফিসারদের বি’রুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অ’ভিযোগ করার পরও পু’লিশ সুপার ব্যবস্থা নেন না।
নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন, ব্যবস্থা তো নেন না, বরং শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। তিনি বলেন, মেজর সিনহা খু’নের ঘটনায় জ’ড়িত ইন্সপেক্টর লিয়াকতের সঙ্গে ফোনালাপে এসপি মাসুদ হোসেনের অ’প’রাধ স্পষ্ট প্রমাণিত।
প্রসঙ্গত, গত ৩১শে জুলাই কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে মেজর সিনহা তার কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট’কারটি নিয়ে টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পু’লিশ ত’দন্তকেন্দ্রের চেকপোস্টে পৌঁছালে গাড়িটি পু’লিশ থামিয়ে দেয়।
তখন তিনি ওপর দিকে হাত তুলে প্রাইভেট কার থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাহারছড়া পু’লিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলী পরপর চার রাউন্ড গু’লি করে হ’ত্যা করে বলে সে’না সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।
ঘটনা ত’দন্তে গত ২রা আগস্ট চট্টগ্রামের অ’তিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের ত’দন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্ত্বা বিভাগ। ৪ঠা আগষ্ট থেকে ত’দন্ত শুরু হয়েছে। কক্সবাজার পরিদর্শন করেছেন সে’নাবাহিনীর প্রধান ও পু’লিশ প্রধান।