এবার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মাস্ক পড়তে বলায় স্বাস্থ্যকর্মীকে মা’রধরের ঘটনা ঘটেছে। উপজে’লা যুবলীগ সভাপতি মো. রেজাউল করিমকে মাস্ক ছাড়া অফিসে না ঢুকতে অনুরোধ করায় সাটুরিয়া উপজে’লার দিধলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট সুজন মিয়াকে মা’রধর এবং ভাঙচুরের অ’ভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবারের এ ঘটনায় বুধবার (২৯ জুলাই) রাতে সাটুরিয়া থা’নায় অ’ভিযোগ করেছেন সুজন মিয়া। সাটুরিয়া থা’নার ওসি মো. মতিয়ার রহমান মিঞা থা’নায় অ’ভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সুজন মিয়া জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে মো. রেজাউল করিমসহ কয়েকজন মুখে মাস্ক ছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। সরকারি নির্দেশনা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি সবাইকে মাস্ক পড়তে অনুরোধ করেন।
কিন্তু এতে রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন মিয়ার মুখের মাস্ক খুলে ফেলেন। তার সাথে থাকা সবাই মিলে সুজনকে মা’রধর এবং কেন্দ্রে ভাঙচুর করে। সুজন মিয়াকে বান্দারবনে বদলি করে দেয়ারও হু’মকি দেয় রেজাউল করিম ও তার লোকজন। পরে সুজন মিয়াকে হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়টি নিয়ে বুধবার সাটুরিয়া ইউএনও আশরাফুল আলমের অফিসে উভ’য়পক্ষকে নিয়ে বসা হয়। কিন্তু ফয়সালা না হওয়ায় ইউএনও সুজনকে স্থানীয় বা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন বলে জানায়। এরপর ফার্মাসিস্ট সাটুরিয়া থা’নায় যুবলীগের সভাপতিসহ ৪ জনকে আ’সামি করে অ’ভিযোগ দায়ের করেন।
তবে রেজাউল করিম ঘটনার সাথে জ’ড়িত থাকার অ’ভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে তার বি’রুদ্ধে মিথ্যা অ’ভিযোগ করা হয়েছে।
জে’লা পরিবার ও পরিকল্পনার উপপরিচালক মো. গো’লাম নবী বলেন, বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছে। ত’দন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।