টেকনাফ থা’নার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমা’র দাস ও অন্য পু’লিশ কর্মক’র্তাদের বি’রুদ্ধে নানা অ’ভিযোগ জানাতে থা’নার সামনে ভিড় করে ভুক্তভোগীরা।
ত’দন্ত দলের কাছে কথা বলার সুযোগ না পেয়ে সাংবাদিকরে কাছে তাদের অ’ভিযোগগুলো তুলে ধরেন। এসব অ’ভিযোগের সিংহভাগই বিভিন্ন ব্যক্তিকে বাসা থেকে তুলে এনে নি’র্যাতনসহ ক্রসফায়ারে দেওয়ার হু’মকি দিয়ে অর্থ আদায় সংক্রান্ত।
এসময় স্থানীয়রা ভ’য়াবহ অ’ভিযোগ তোলেন ওসি প্রদীপ ও তার সহকারী টেকনাফ থা’না পু’লিশ কর্মক’র্তাদের বি’রুদ্ধে।
তাদের দাবি, মূলত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও স’ন্ত্রাসীর ট্যাগ লাগিয়ে নিরীহ লোকজনকে থা’নায় ধরে নিয়ে মোটা অংকের অর্থের জন্য চাপ প্রয়োগ করতো ওসি প্রদীপের আদেশে টেকনাফ থা’না পু’লিশ। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের ভাগ্যে জুটতো ক্রসফায়ারের নামে নি’র্মম মৃ’ত্যু।
প্রসঙ্গত: ওসি প্রদীপ ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর টেকনাফ থা’নায় যোগদান করেন। এরপর থেকে গত ১৯ মাসে শুধু টেকনাফে ১৪৪টি ব’ন্দুকযু’দ্ধের ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ব’ন্দুকযু’দ্ধে ২০৪ জন নি’হত হয়েছে।
এসময় ভুক্তভোগী টেকনাফের সাবরাংয়ের মকবুল আহমেদ অ’ভিযোগ করেন, ‘‘তার ভাই হাসান আম’দকে (আহম’দ) দিনের বেলায় ধরে নিয়ে আসেন পু’লিশের এসআই সনজি দত্ত।
এরপর ‘ক্রসফায়ার’ দেবে না এই শর্তে এই পু’লিশ কর্মক’র্তা তাদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নেয়। এরপরও ইয়াবা দিয়ে হাসানকে কারাগারে চালান দেয়।’’ এ ঘটনাটি গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে ঘটেছে বলে দাবি করেন তারা।
মকবুল আহম’দ বলেন, এতদিন ওসি প্রদীপ কুমা’র দাসের ‘ক্রসফায়ারের’ ভ’য়ে মুখ খুলতে সাহস পাইনি। তাকে আ’ট’ক করার খবর শুনে এখানে এসেছি। আমি এখন বিচার চেয়ে তাদের বি’রুদ্ধে মা’মলা করতে চাই।
আরেক ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেতা মো. শহীদ জুয়েল বলেন, ‘গত ১লা ফেব্রুয়ারি দুপুরে টেকনাফ বাঁশের গুদাম থেকে তাকে আ’ট’ক করে থা’না পু’লিশ। এরপর তারা দাবি করা টাকা না পাওয়ায় তাকে ৬শ’ পিস ইয়াবাসহ আ’ট’ক দেখিয়ে আ’দালতে চালান দেয় বলে অ’ভিযোগ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকার চেকপোস্টে পু’লিশের গু’লিতে নি’হত হন বাংলাদেশ সে’নাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
ঘটনার পর কক্সবাজার পু’লিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাশেদ তার পরিচয় দিয়ে ‘তল্লা’শিতে বাধা দেন’। পরে ‘পি’স্তল বের করলে’ চেকপোস্টে দায়িত্বরত পু’লিশ তাকে গু’লি করে।
তবে পু’লিশের এমন ভাষ্য নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন ওঠে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নি’হত সাবেক সে’না কর্মক’র্তার এক সঙ্গীর বক্তব্যের সঙ্গে পু’লিশের ভাষ্যের কিছুটা অমিল রয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়। এমন প্রেক্ষাপটে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের একটি ত’দন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।