বাংলাদেশ পু’লিশের বিভিন্ন ইউনিট প্র’তারণা রোধে, সন্দেহভাজন প্র’তারকদের চিহ্নিত করতে এবং সংগঠিত প্র’তারণার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্র’তারকদের আইনের আওতায় আনতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। তবে শুধু আইন প্রয়োগ করে এ ধরনের অপরাধ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এই সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পু’লিশের ‘সচেতন নাগরিক’ ফেসবুক পেজে।
মোবাইল ব্যাংকিং ও এটিএম কার্ড প্রতা’রণার ক্ষেত্রে প্র’তারক নিজেকে বিকাশ, ইউক্যাশ, রকেট, নগদ বা অন্য যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের অথবা এটিএম কার্ড (ডেবিট বা ক্রেডিট) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হেড অফিস, কোম্পানি অফিস বা আইটি শাখার কর্মকর্তা বা কর্মচারী হিসেবে পরিচয় দিতে পারে।
প্রতা’রক ব্যক্তিটি অত্যন্ত শুদ্ধ ভাষায় এবং মার্জিতভাবে কথা বলার চেষ্টা করবে। সিস্টেম মেইনটেন্যান্স, তথ্য হালনাগাদ, কাস্টমার ভেরিফিকেশন বা অন্য কোন বিশেষ বা জরুরি কারণ দেখিয়ে বিকাশ, ইউক্যাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদির অ্যাকাউন্টের বা এটিএম কার্ডের (ডেবিট বা ক্রেডিট) গোপন পিন নম্বরটি জানতে চাইবে।
পিন নম্বর না জানালে অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা স্থগিত করে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখাবে।জেনে রাখুন-
কোন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যক্তি (কর্মকর্তা বা কর্মচারী) কখনোই আপনার কোন অ্যাকাউন্টের গোপন পিন নম্বর বা পাসওয়ার্ড জানতে চাইবেন না, এমনকি কেউ সেটি জানতে চাইতে পারেন না।
এ ধরনের কলে বিচলিত না হয়ে কলটি কেটে দিন এবং পরবর্তীতে ওই নম্বর থেকে আবার কল আসলে কল রিসিভ করা থেকে বিরত থাকুন।
আরও বলা হচ্ছে, প্র’তারণার শিকার হলে দেরি না করে নিকটস্থ পু’লিশকে অবগত করুন।